লর্ডস টেস্টের পরে বাইশ গজে হয়তো একটা কথা খুবই প্রচলিত হতে চলেছে। সেটা হল, যেই যাই করতে পারেন, কিন্তু কেউ জসপ্রীত বুমরাহকে রাগাবেন না। যদি কেউ বুমারহকে রাগান তাহলে আপনারও অ্যান্ডারসনদের মতো অবস্থা হতে পারে। আসলে বিষয়টা মজা মনে হলেও, এটাই ঘটেছে ভারত-ইংল্যান্ড লর্ডস টেস্টে। অ্যান্ডারসন বনাম বুমরাহের কথোপকথনের পরে লর্ডসের ম্যাচের ছবি বদলাতে দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ইংল্যান্ডের পক্ষে থাকা ম্যাচ কী ভাবে নিজেদের পকেটে পুড়ে ছিল ভারত, তা দেখে সকলেই হতবাক। অবশ্যই এর নেপথ্যে বিশেষ ভাবে ছিলেন শামি ও বুমরাহ। আর অবশ্যই জসপ্রীত বুমরাহের রাগ।
এই কারণেই ভারতের প্রতিপক্ষের কাছে জাহির খানের আবেদন বুমরাহকে সমীহ করে চলবেন। বুমরাহের সঙ্গে লাগতে যেও না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টে ভারতের ১৫১ রানের জয়ের পরে, বুমরাহের পারফরমেন্স আলাদা ভাবে মুগ্ধ করেছে ভারতের প্রাক্তন পেসার জাহির খানকে। এই টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসের তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসের পারফরমেন্স মজে রয়েছেন জাহির। ১০ নম্বরে খেলতে নেমে শামির সঙ্গে জুটি বেঁধে বুমরাহদের অপরাজিত ৮৯ রানের পার্টনারশিপ ও পরে বল হাতে ১৫ ওভার বল করে বুমরাহের ৩ উইকেট শিকার, সব মিলিয়ে জাহিরকে মুগ্ধ করেছে।
হেডিংলেতে ইংল্যান্ড-ভারত তৃতীয় টেস্টে খেলতে নামার আগে বুমরাহকে নিয়ে জাহির খান জানালেন এক অন্য কথা। ভারতের প্রাক্তন পেস বোলার বললেন, ‘পরে অ্যান্ডারসন পর্বটি সম্পূর্ণ প্রকাশ পেয়েছে, বাউন্সারগুলি তিনি তাদের করেছিলেন এবং এরপরে ব্যাটিং করার সময়, ইংল্যান্ডের পেসাররা যেভাবে তার পিছনে লেগেছিল... এই সমস্ত জিনিস তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তিনি সেই রাগকে সঠিক জায়গায় প্রকাশ করেছিলেন। ইংল্যান্ড নিশ্চয়ই ভাবছে 'আমাদের উচিত ছিল বুমরাহকে বাউন্সার করা' এবং তার সঙ্গে লাগা উচিত নয়। যে তীব্রতায় তিনি বোলিং করেছিলেন, তা প্রশংসার যোগ্য ছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।