জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচ যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই এক বিশেষ মুহূর্ত। তার ওপর অভিষেক যদি ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে হয়, তাহলে তো কথাই নেই। তবে ওলি রবিনসনকে এত বড় মুহূর্তে সামান্যও বিচলিত দেখায়নি। বরং টম লাথাম ও রস টেলরকে সাজঘরে ফিরিয়ে শুরুটা দারুণভাবে করেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার।
তবে ক্রিকেট জীবন যে নানা চড়াই উতরাইতে ভর্তি, নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম ম্যাচই তা বুঝিয়ে দিল রবিনসনকে। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই হিরো থেকে ভিলেনে পরিবর্তিত হলেন তিনি। ঘটনার মূলে প্রায় আট বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা একাধিক পোস্ট। প্রচারের আলো থেকে বেশ দূরে তরুণ রবিনসন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একাধিক বর্ণ ও লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় পা রাখতেই হঠাৎ করে তার সেই পোস্টগুলি ভাইরাল হয়।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে খ্যাতির পাশাপাশি যে প্রতিটা পদক্ষেপে সকলের নজর থাকে তা প্রথম দিনেই নিজের কুরুচিকর পোস্টের জেরে ভালভাবে টের পান রবিনসন। তীব্র বিতর্কের মাঝে প্রথম দিনের খেলা শেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন ২৭ বছর বয়সী এই বোলার।
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘আমি নিজের এমন মন্তব্যের জন্য খুবই লজ্জিত। আমার পরিস্থিতি তখন যেমনই হোক, বিচার বিবেচনা না করে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কোনওরকম ব্যাখা হয় না। সেই সময় থেকে আমি মানুষ হিসেবে অনেকটাই পরিপক্ক হয়েছি এবং আমি নিজের ভুলের জন্য লজ্জিত। আমার কথায় আঘাতপ্রাপ্ত সকলের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।’
কিছুদিন আগেই মাইকেল হোল্ডিং ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে মাঠে বা মাঠের বাইরে বৈষম্য রুখতে যথেষ্ট চেষ্টা না করার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগেই হয়তো ম্যাচের আগে নিজেদের টি শার্টে ঐক্যের বাণী প্রচারে সচেষ্ট হন ইসিবি। তবে একই ম্যাচে খেলা রবিনসনের এহেন আচরণে ফের একবার একাধিক প্রশ্নের মুখে জো রুটদের ক্রিকেট বোর্ড। শোনা যাচ্ছে বহু বছর পুরনো ঘটনা হলেও ভারী জরিমানার সম্মুখীন হতে পারেন রবিনসন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।