অবিলম্বে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, সম্প্রতি ক্লাবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের জন্যই রোনাল্ডোকে ছাঁটাই করে দিয়েছে ম্যান ইউ।
ফুটবল বিশ্বকাপের মধ্যেই মঙ্গলবার রাতের দিকে (ভারতীয় সময়) ইউনাইটেডের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে অবিলম্বে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দু'দফায় যে অপরিসীম অবদান রেখেছেন, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে ক্লাব। যিনি ৩৪৬ ম্যাচে ১৪৫ গোল করেছেন। ভবিষ্যতের জন্য তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে।'
ম্যান ইউয়ের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে রোনাল্ডোর বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের বিষয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করা হয়নি। তবে সেই কারণেই যে রোনাল্ডোকে ক্লাব ছাড়তে হচ্ছে, তা প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিয়েছে ম্যান ইউ। মঙ্গলবার বিবৃতিতে রেড ডেভিলসের তরফে বলা হয়েছে, 'এরিক টেন হ্যাগের অধীনে দলের অগ্রগতির জন্য ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রত্যেকে অবিচল আছেন। মাঠে সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন।'
কোন ক্লাবে যেতে পারেন রোনাল্ডো?
আপাতত বিশ্বকাপ চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে নামবে রোনাল্ডোর পর্তুগাল। সেই ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে ক্লাবহীন হয়ে গিয়েছেন রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের পর ফের যখন ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল শুরু হবে, তখন কোন ক্লাবে যাবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। একাধিক মহলে গুঞ্জন চলছে যে আর্সেনাল বা চেলসিতে যেতে পারেন রোনাল্ডো। আবার কয়েকটি মহলে জোর গুঞ্জন চলছে যে নিজের প্রাক্তন ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে ফিরতে পারেন পর্তুগালের অধিনায়ক।
যদিও সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড লাইন পুরো চমকপ্রদ। সদ্য ব্যালন ডি'অর জয়ী করিম বেঞ্জেমা, ভিনিসিয়াস জুনিয়রদের মতো তারকা আছেন। ফলে আদৌও তাঁকে রিয়াল নেবে কিনা, তা নিয়ে বড়সড় ধন্দ আছে। অন্যদিকে, আর্সেনাল তো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ছুটছে। লিগ তালিকার শীর্ষে আছে। ফলে গানার্সদের দলে বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তুলনামূলকভাবে চেলসিতে যাওয়ার জল্পনায় কিছুটা জোর থাকতে পারে।
কী কারণে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রোনাল্ডো?
বিশ্বকাপের আগেই একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ক্লাব ম্যান ইউয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রোনাল্ডো। যে তারকাকে ম্যান ইউয়ের সমর্থকরা নিজের ‘ঘরের ছেলে’ মনে করতেন। রোনাল্ডো অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আঙুল তোলেন ম্যানেজার এরিকের দিকেও।