ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে লিভারপুল ম্যাচ ড্র করায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে সুযোগ ছিল খেতাবি দৌড়ে বেশ একটা ব্যবধান তৈরি করার। ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে নির্ভুলভাবে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে গোলের মালা পরিয়ে ঠিক সেই কাজটিই করল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
নিউক্যাসেলের বিরুদ্ধে ম্যাচের ১৯ মিনিটে হেডারে গোল করে সিটিকে লিড এনে দেন রাহিম স্টার্লিং। ৩৮ মিনিটে ইলকায় গুন্দোয়ানের এক দূরপাল্লার শট নিউক্যাসেল গোলরক্ষরক মার্টিন ডুবরাভকা দস্তানাবদ্ধ করতে না পারায় দ্রুত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্যাপ ইনে গোল করে সিটির ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আয়মেরিক লাপোর্ত। প্রথমার্ধে ২-০-র ভাল লিড নিয়ে শেষ করে সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে কেভিন ডি'ব্রুইনের নিখুঁত ক্রস থেকে সিটির হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন রড্রি। এতেও মন ভরেনি সিটির। সাবস্টিটিউট হিসাবে মাঠে নামা ফিল ফডেন সিটির হয়ে ৯০ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন। ইনজুরি টাইমে নিজের দ্বিতীয় ও ম্যাচে সিটির হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন স্টার্লিং। এই জয়ের ফলে লিভারপুলের সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে তাদের থেকে তিন পয়েন্ট বেশি, ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে ফের একবার লিগ তালিকায় একে চলে এল সিটি।
মরশুমের আর তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। এমন অবস্থায় এই তিন পয়েন্টের ব্যবধান সিটিকে পাঁচ বছরে চতুর্থ প্রিমিয়র লিগ খেতাব জয়ের অনেকটাই কাছাকাছি এনে দিল। উপরন্তু, পাঁচ গোলে জেতায় সিটির গোলপার্থক্যও লিভারপুলের থেকে ভাল (সিটির গোলপার্থক্য ৬৮, লিভারপুলের ৬৪) হয়ে গেল। ফলে সমান পয়েন্টে শেষ করলেও, বড় ব্যবধানে সিটির হার ছাড়া লিভারপুলের খেতাব জেতা চাপ। পরপর লিভারপুল ও সিটির বিরুদ্ধে হেরে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ১৩ নম্বরে রইল নিউক্যাসেল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।