নিজেদের গত পাঁচটি প্রিমিয়র লিগ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের প্রিমিয়র লিগ ইতিহাসে সবথেকে কম পয়েন্ট নিয়ে যে রাল্ফ রাংনিকের দল শেষ করবে, তা আগেই নিশ্চিত ছিল। তবুও ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে অন্তত মরশুমটা ভালভাবে শেষ করার লক্ষ্যে ছিল রেড ডেভিলস। সে গুড়ে বালি।
ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে ১-০ গোলে পরাজিত হল ম্যান ইউনাইটেড। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোহীন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এদিন ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্টাল প্যালেসের উইলফ্রেড জাহা। ডেভিড দে হেয়া না থাকলে ফলাফল আরও খারাপ হতে পারত। স্প্যানিশ গোলরক্ষক বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন। তবে ম্যান ইউনাইটেডের হারের লাভ তুলতে পারল না ওয়েস্ট হ্যাম।
রেড ডেভিলসরা হারলে, হ্যামার্সরা জিতে ছয় নম্বরে শেষ করে ইউরোপা লিগ ফুটবল নিশ্চিত করতে পারত। ব্রাইটনের বিরুদ্ধে ডেভিড ময়েসের দল প্রথমার্ধে এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল খেয়ে ম্যাচ হেরে যায়। ফলে তারা সাতে শেষ করল এবং পরবর্তী মরশুমে উয়েফা কনফারেন্স লিগে খেলবে। ম্যান ইউনাইটেড এবং ওয়েস্ট হ্যামের মতো অনেকটা একই অবস্থা ছিল উত্তর লন্ডনের দুই ক্লাব আর্সেনাল এবং টটেনহ্যাম হটস্পারেরও।
চারে থাকা স্পার্স হারলে এবং আর্সেনাল জিতলে পরের মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পেত আর্সেনাল। তবে এদিন উত্তর লন্ডনের দুই ক্লাবই বিশাল ব্যবধানে নিজেদের ম্যাচ জিতল। এভারটনের বিরুদ্ধে ৫-১ ব্যবধানে নিজেদের ম্যাচ জেতে আর্সেনাল। মার্টিনেলি, এনকেতিয়া, সেডরিক, গ্যাব্রিয়েল এবং ওডেগার্ড গার্নাসদের হয়ে গোল করেন। এভারটনের একমাত্র গোলদাতা ভ্যান ডি'বিক।
স্পার্সও নরউইচকে পাঁচ গোলে হারায়। সন হিউং-মিন ও কুলুসেভস্কি উভয়েই জোড়া গোল করেন। অপর গোলটি আসে হ্যারি কেনের পা থেকে। নরউইচ গোল করতে পারেনি। চেলসি ২-১ ব্যবধানে অবনমিত ওয়াটফোর্ডকে হারিয়ে লিগে তিনে শেষ করে। ওয়াটফোর্ড, নরউইচের পাশাপাশি প্রিমিয়র লিগ থেকে অবনমিত হল বার্নলে। তারা নিউক্যাসেলের বিরুদ্ধে ১-২ ব্যবধানে পরাজিত হয়। লিডস ইউনাইটেড ২-১ গোলে ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়ে বার্নলের থেকে তিন পয়েন্ট এবং এক ধাপ উপরে শেষ করে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।