আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল বলে বাঁচোয়া। না হলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে কিন্তু সমস্যায় পড়তে হতে পারত। রবিবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পরেও হারার মতো পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছিল কেরালা। সেখান থেকে কোনও মতে ৪-৪ ড্র করে তারা। ৮ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন আইরাম কাবরেরা।
তবে ম্যাচের শুরুতে ২ গোলে পেরেরা ডিয়াজ এগিয়ে দিয়েছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সকে। ১০ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন তিনি। ২৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন। ২-০ গোলে এগিয়েই প্রথমার্ধ শেষে সাজ ঘরে ফেরে কেরালা। কিন্তু ম্যাচের রং বদলে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। অনেকেই যখন ধরে নিয়েছে, এই ম্যাচ জিতেই সেমিতে যাচ্ছে কেরালা, ঠিক তখনই পাল্টা আঘাত হানে গোয়া।
প্রথমার্ধের ফলাফল দেখে কেউ আন্দাজই করতে পারেননি, দ্বিতীয়ার্ধে এই ম্যাচই অন্য রকম উত্তেজক মোড় নেবে। মোট ছয়টি গোল হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ৪৯ মিনিটে ব্যবধান কমান আইরাম। এটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এর পর ৬৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান সেই আইরামই। ৭৯ মিনিটে গোয়াকে ৩-২ এগিয়ে দেন আইবানহ ডোহলিং। ৮২ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন আইরাম। তাঁর ৩ গোলের হাত ধরে ৪-২ এগিয়ে যায় গোয়া।
সেই সময়ে মারাত্মক চাপে পড়ে গিয়েছিল কেরালা। তবে সেমিতে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল বলে বাড়তি কোনও মানসিক চাপ ছিল না। যে কারণে ২-৪ পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়ায় কেরালা। ৮৮ মিনিটে কেরালার হয়ে ৩-৪ করেন ভিন্সি ব্যারেটো। ৯০ মিনিটে আলভারো ভ্যাজকুয়েজের গোলে কোনওক্রমে হার বাঁচায় তারা।
তবে এই ম্যাচ ড্র করেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। ২০ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরেই থাকল কেরালা। আইএসএলের চতুর্থ দল হিসেবেই শেষ চারের লড়াইয়ে মাঠে নামবে তারা। ২০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে থেকে আইএসএলের অভিযান শেষ করল এফসি গোয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।