গ্রুপ ‘ডি’-র শেষ রাউন্ডের ২টি ম্যাচই ছিল রোমাঞ্চকর, উত্তেজনায় ভরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করল চার দল। তার মধ্যে তিউনিশিয়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারানোর পরেও ছিটকে গেল। আর ডেনমার্ককে হারিয়ে নকআউটে উঠল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া বনাম ডেনমার্ক
৬০ মিনিটে ম্যাথু লেকির একমাত্র গোল। আর তাতেই বদলে গেল গ্রুপ ডি-র সব সমীকরণ। সেই এক গোল ধরে রেখেই বিশ্বকাপের মঞ্চে ইতিহাস লিখে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। একক দক্ষতায় গোল করে অজিদের নকআউটে পৌঁছে দেন ম্যাথু লেকি। ডেনমার্কের মেহলকে দু’বার কাটিয়ে গোলকিপারকে ভুল দিকে পাঠিয়ে দুরন্ত গোল লেকির।
আর ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ১-০ জয়ের হাত ধরেই ইতিহাল গড়ল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালের পর তারা আবার নকআউটে উঠল। অজিদের স্বপ্ন পূরণ করলেন লেকি। বিশ্বকাপের মঞ্চে যেন সূর্যমুখী ফোটালেন তিনি। আর এই জয়ের ফলে ডেনমার্ক ছিটকে গেল। তারা গ্রুপ ডি-র লাস্টবয় হিসেবে শেষ করল।
আরও পড়ুন: বড় অঙ্কের প্রস্তাব, সৌদি আরবের ক্লাবেই সই করতে চলেছেন রোনাল্ডো- রিপোর্ট
ডেনমার্ক যে এ দিন লড়াই করেননি, তা নয়। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অনেক বেশি আক্রমণে উঠেছে। বহু সুযোগ তৈরি করেছে। সুযোগ পেয়েওছে। কিন্তু গোলের মুখটাই তারা খুলতে পারেনি। যার খেসারত তাদের ম্যাচ হেরে দিতে হল। সেখানে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে লেকিরা গোলে বাজিমাত করল অস্ট্রেলিয়া।
ফ্রান্স বনাম তিউনিশিয়া
শেষ ষোলোর লড়াইয়ের আগে পচা শামুকে পা কাটল ডিফেন্ডিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তিউনিশিয়ার কাছে ফ্রান্স ১-০ হেরে বসে থাকল। তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ফ্রান্সের। তাই দলে অনেক বদল করেছিলেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তারই খেসারত সম্ভবত দিতে হল ফ্রান্সকে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে হেরে গেল তারা।
আরও পড়ুন: সবার রঙে রঙ মিশাতে রাজি হল FIFA, বিশ্বকাপে উঠল রামধনু নিষেধাজ্ঞা
প্রথম একাদশে ন’টি পরিবর্তন করেছিলেন দেশঁ। ভারানে এবং চুয়ামেনি ছাড়া বাকি দল বদলে দিয়েছিলেন তিনি। ফ্রান্সের রিজার্ভ বেঞ্চের দলকে সামনে পেয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে তিউনিশিয়া। কারণ, না জিতলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না তাদের। তিউনিশিয়া গোল পায় ম্যাচের ৫৮ মিনিটে। ওয়াহাবি খাজরির দুরন্ত গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তিউনিশিয়া। সেই লিডই তারা ধরে রাখে।
তবে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইনজুরি টাইমে ফ্রি-কিক থেকে ফিরতি বলে গোল করে সমতা ফেরান আঁতোয়া গ্রিজম্যান। উৎসবে মাতেন ফ্রান্সের ফুটবলাররা। কিন্তু পরে ভার প্রযুক্তিতে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন গ্রিজম্যান। তাই তাঁর গোল বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতে তিউনিশিয়াই। তবে ফ্রান্সকে হারিয়েও শেষ ষোলোয় যাওয়া হল না তাদের।
গ্রুপ ডি-র সমীকরণ
চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তিন নম্বরে থেকে এ বারের মতো বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল আফ্রিকার দল। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল পার্থক্যে শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোয় চলে গেল ফ্রান্স। ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দলেরই পয়েন্ট ৬ করে। গ্রুপ ডি-র লাস্টবয় ডেনমার্কের পয়েন্ট ১।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।