ডার্বি এখন অতীত। এটিকে মোহনবাগানের সামনে এখন লক্ষ্য সেমিফাইনালে ওঠা। আর সেমিতে উঠতে গেলে বাগানকে শনিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে প্লে-অফে জিততেই হবে। তাই ওড়িশা ম্যাচকে ফাইনাল ধরেই এগোতে চাইছে এটিকে মোহনবাগান।
২০২২-২৩ মরশুমে আইএসএলে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে দু'বারই জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। শনিবার ঘরের মাঠে খেলতে নামাবে বাগান ব্রিগেড। ধারে-ভারে তারা ওড়িশার চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। কিন্তু ওড়িশাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। দলের তারকা ডিফেন্ডার স্লাভকো দামানোভিচ বলেছেন, ‘ওড়িশা শক্তিশালী দল। আমাদের কাছে ডার্বির থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই ম্যাচ। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ওদের বিরুদ্ধে যুবভারতীতে কিছুক্ষণ খেলেছিলাম শেষের দিক। ওদের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মোরিসিও এবং স্প্যানিশ মিডিও ভিক্টর রডরিগেজ পুরো দলের আক্রমণ তৈরি করে। পাল্টা আক্রমণে ওঠে ওরা। ফলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছি আমরা। মাঠে আমাদের সমর্থকেরা থাকবেন। এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে, না হলে আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ক্লেটনের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি বাড়াল EB,ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বাকিদের বিদেশিদের
মোহনবাগানের মাঝমাঠের প্রধান শক্তি শক্তি হুগো বৌমোস। তিনি আবার বলেছেন, ‘ডার্বিতে আমরা মরিয়া মনোভাব নিয়ে খেলেছিলাম। শনিবার আরও বেশি একাগ্রতা নিয়ে খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে ওড়িশা বেশি শক্তিশালী। ওরাও ফাইনালে ওঠার চেষ্টা করবে। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হবে। আমরা চাই ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করতে। অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে ম্যাচ নিয়ে যেতে চাই না।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ওড়িশা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলে। আমাদের রক্ষণ ভালো খেলছে। চাপের মুখে কেরালা ব্লাস্টার্স এবং ডার্বি আমরা জিতেছি। গোলও আসছে। গোল না পেলেও নিজের খেলায় আমি খুশি। কারণ কোচ আমাকে দিয়ে যেটা করাতে চাইছেন, সেটা হচ্ছে। মানে আমাকে প্রতিপক্ষের দুই বা তিন জন মার্কিং করতে যাচ্ছে। ফলে অন্যরা অনেক জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। গোলের মুখ খুলতে পারছে। ডার্বিতে যেটা হয়েছে। দেখা যাক, এবার কোচ কী দায়িত্ব দেন। তবে জেতার ব্যাপারে আমি একশোভাগ আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: চাকরি গিয়েছে কনস্ট্যান্টাইনের ডেপুটির, এ বার ব্রিটিশ কোচের পালা?
মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটালও ডার্বির থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ওড়িশা ম্যাচকে। প্রীতম বলেন, ‘এই ম্যাচটা হারলে সব শেষ। তাও ডার্বির থেকেও ১০ শতাংশ বেশি দিতে হবে আমাদের। ডার্বি এখন অতীত। আমরা লিগ জিততে পারিনি। কিন্তু শিল্ড জেতার সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। সেটা কাজে লাগাতে হবে। ডার্বি খেলতে নেমেছিলাম জেতার মানসিকতা নিয়ে। ওড়িশা ম্যাচেও সেটা প্রয়োজন। নক আউটে সামান্য ভুলেই অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকব। আমাদের এখন শুধুই চিন্তা ওড়িশাকে নিয়ে। আর কোনও কিছু নিয়েই ভাবছি না আমরা।’
ওড়িশা কোন জায়গায় এগিয়ে আছে, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রীতম বলেন, ‘কোনও দলের সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না। তবে ওড়িশা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ডান দিক থেকে ওরা আক্রমণে ওঠে। বক্সের আশেপাশে স্ট্রাইকার মোরিসিও কিন্তু ভয়ংকর। চকিতে টার্ন করে গোলে মারে। এ ভাবেই অনেক গোল পেয়েছে ওড়িশা। ওকে কিছুতেই বক্সের আশপাশে ঘুরতে দেওয়া যাবে না। এখন সেমিফাইনাল বা ফাইনাল নিয়ে ভাবছি না। ওড়িশাকে হারানোর পর সেমিফাইনাল নিয়ে ভাবব। ম্যাচ ধরে ধরে এগোলে সাফল্য বেশি আসে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।