কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউক্রেনকে। শেষ আটে ডেনমার্ক ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় চেক প্রজাতন্ত্রকে। এবার সেমিফাইনালের লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের কাছে ১-২ গোলে হার মানতে হয় ড্যানিশদের।
ইউরোর ফাইনালে ইতালি-ইংল্যান্ড
ইউরো কাপ ২০২০-র ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড
সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো ২০২০-র ফাইনালে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড।
ম্যাচ শেষ
অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ। ইংল্যান্ড জয়ী।
ক্যাসপারের সেভ
১২০+১ মিনিটে স্টার্লিংয়ের আক্রমণ প্রতিহত করেন ড্যানিশ গোলকিপার।
১ মিনিট স্টপেজ টাইম
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ১ মিনিট সময় সংযোজিত হয়।
কেনের নজির
বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের হয়ে সবথেকে বেশি গোল করার নিরিখে গ্যারি লিনেকারকে ছুঁয়ে ফেললেন হ্যারি কেন। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে দু'জনেরই গোল সংখ্যা ১০। কেন টপকে পেলেন অ্যালান শিয়েরারকে, যিনি ইংল্যান্ডের জার্সিতে বড় টুর্নামেন্টে ৯টি গোল করেছেন।
হ্যান্ড বল
১১৬ মিনটের মাথায় হ্যান্ড বল করে বসেন হ্যারি কেন।
পিকফোর্ডের সেভ
১১৪ মিনিটের মাথায় ব্রাথওয়েটের আক্রমণ প্রতিহত করেন পিকফোর্ড।
ইংল্যান্ডের পরিবর্ত
১০৬ মিনিটে গ্রেলিশকে তুলে নিয়ে ট্রিপিয়ারকে মাঠে নামায় ইংল্যান্ড।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শেষ
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ইংল্যান্ড ২-১ গোলে এগিয়ে।
৩ মিনিট স্টপেজ টাইম
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে ৩ মিনিট সময় সংযোজিত হয়।
ডেনমার্কের পরিবর্ত
১০৫ মিনিটে ভেস্তারগার্ডকে তুলসে নিয়ে ডেনমার্ক মাঠে নামায় জোনাস উইন্ডকে।
হ্যারি কেনের গোল
১০৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন হ্যারি কেন। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন ড্যানিশ গোলকিপার। তবে বল প্রতিহত হয় ফিরে এলে কেন পুনরায় তা জালে ঠেলে দেন। ইংল্যান্ড ২-১ গোলে এগিয়ে যায়।
পেনাল্টি পেল ইংল্যান্ড
১০২ মিনিটের মাথায় নিজেদের বক্সে স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন মাহলে। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন ইংল্যান্ডকে।
ইংল্যান্ডের আক্রমণ ব্যর্থ
৯৮ মিনিটের মাথায় স্টার্লিংয়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ক্যাসপারের সেভ
এবার ৯৮ মিনিটে গ্রেলিশের শট বাঁচান ড্যানিশ গোলকিপার।
ইংল্যান্ডের আক্রমণ
৯৮ মিনিটে স্টোনসের আক্রমণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ইংল্যান্ডের জোড়া পরিবর্ত
৯৫ মিনিটে রাইস ও মাউন্টকে তুলে নিয়ে হেনডারসন ও ফডেনকে মাঠে নামায় ইংল্যান্ড।
ক্যাসপারের সেভ
ড্যানিশ গোলকিপারকে পরাস্ত করা কার্যত অসম্ভব দেখাচ্ছে। ৯৪ মিনিটে হ্যারি কেনের আক্রমণ প্রতিহত করেন ক্যাসপার।
অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শুরু।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ। ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে। খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। ২০০০ সালের পর থেকে এই প্রথমবার ইউরোর দু'টি সেমিফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
ইংল্যান্ডের আক্রমণ
৯০+৭ মিনিটে হ্যারি কেনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ক্যাসপারের সেভ
দুর্ভেদ্য ক্যাসপার। ৯০+৫ মিনিটে মাগুইরের আক্রমণ প্রতিহত করেন ড্যানিশ গোলকিপার।
ইংল্যান্ডের আক্রমণ
৯০+৩ মিনিটের মাথায় ফিলিপসের বাঁ-পায়ের শট বারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
৬ মিনিট স্টপেজ টাইম
দ্বিতীয়ার্ধে ৬ মিনিট সময় সংযোজিত হয়।
ডেনমার্কের পরিবর্ত
৮৮ মিনিটে ডেলানিকে তুলে নিয়ে জেনসেনকে মাঠে নামায় ডেনমার্ক।
চাপে ডেনমার্ক
৩০ মিনিটে গোল করার পর থেকে ডেনমার্ক বাকি সময়ে মাত্র ১ বার যথাযথ আক্রমণ শানাতে পেরেছে ইংল্যান্ডের বক্সে।
ফের আক্রমণ ইংল্যান্ডের
৮৩ মিনিটের মাথায় স্টোনসের হেডার লক্ষভ্রষ্ট হয়।
ইংল্যান্ডের আক্রমণ ব্যর্থ
৮০ মিনিটের মাখায় ফিলিপসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ডেনমার্কের পরিবর্ত
৭৯ মিনিটে ক্রিশ্চেনসেনকে তুলে নিয়ে অ্যান্ডারসেনকে মাঠে নামায় ডেনমার্ক।
ক্যাসপারের সেভ
৭৩ মিনিটে মাউন্টের ক্রস জালে জড়ানো থেকে আটকান ড্যানিশ গোলকিপার।
হলুদ কার্ড
৭২ মিনিটে গ্রেনিশকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন ডেনমার্কের ওয়াস।
ইংল্যান্ডের পরিবর্ত
৬৯ মিনিটে সাকাকে তুলে নিয়ে গ্রেলিশকে মাঠে নামায় ইংল্যান্ড।
ডেনমার্কের তিনটি পরিবর্ত
৬৭ মিনিটের মাথায় স্ট্রাইগার ও ড্যামসগার্গ ও ডলবার্গকে তুলে নিয়ে ওয়াস, পলসেন ও নরগার্ডকে মাঠে নামায় ডেনমার্ক।
ক্যাসপারের সেভ
ফের দলের পতন রোধ করেন ড্যানিশ গোলকিপার। এবার ৬৪ মিনিটের মাথায় মাউন্টের আক্রমণ প্রতিহত করেন ক্যাসপার।
ইংল্যান্ডের আক্রমণ ব্যর্থ
৬০ মিনিটের মাথায় মাগুইর ডেনমার্কের জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন। যদিও বল মাঠের বাইরে চলে যায়।
পিকফোর্ডের সেভ
৫৯ মিনিটে ডলবার্গের আক্রমণ প্রতিহত করেন পিকফোর্ড।
দুরন্ত সেভ ক্যাসপারের
৫৫ মিনিটের মাথায় হ্যারি মাগুইরের আক্রমণ প্রতিহত করেন ড্যানিশ গোলকিপার।
অফসাইড
৫২ মিনিটের মাথায় ডলবার্গ অফসাইডের আওতায় পড়েন। ফলে ভেস্তে যায় ডেনমার্কের আক্রমণ।
হলুদ কার্ড
জায়েরকে ফাউল করার জন্য ৪৯ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ডের হ্যারি মাগুইর।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধে ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
হাফ-টাইম
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে।
আত্মঘাতী গোল
খুব বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারল না ডেনমার্ক। ৩৯ মিনটের মাথায় সাইমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায়। ইউরোয় এর আগে আর কোনও ড্যানিশ ফুটবলার আত্মঘাতী গোল করেননি। চলতি ইউরোয় এই নিয়ে মোট ১১টি আত্মঘাতী গোল হল। আগের সবক'টি ইউরো মিলিয়ে মোট ৯টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল।
ক্যাসপারের সেভ
৩৮ মিনিটের মাথায় স্টার্লিংয়ের আক্রমণ প্রতিহত করেন ড্যানিশ গোলরক্ষক।
ড্যামসগার্ডের গোল
৩০ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ালেন ড্যামসগার্ড। ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত গোল করেন তিনি। ডেনমার্ক ম্যাচে এগিয়ে গেল ১-০ গোলে। চলতি ইউরোয় এই প্রথম গোল হজম করল ইংল্যান্ড।
ডেনমার্কের আক্রমণ ব্যর্থ
২৫ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ড্যামসগার্ড। ডান পায়ের শটে বল টার্গেটে রাখতে পারেননি তিনি।
পিকফোর্ডের সেভ
১৫ মিনিটের মাথায় হজবার্গের আক্রমণ প্রতিহত করেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার।
ইংল্যান্ডের আক্রমণ ব্যর্থ
১৫ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন হ্যারি কেন। যদিও তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ক্যাসপারের সেভ
১৩ মিনিটের মাথায় স্টার্লিংয়ের আক্রমণ প্রতিহত করেন ড্যানিশ গোলকিপার।
১০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত
১০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত। সেই অর্থে দু'দলের কেউই প্রতিপক্ষের বক্সে জোরালো আক্রমণ হানতে পারেনি।
ফুটবলের স্পিরিট
ম্যাচ শুরুর আগে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন এরিকসেনের নাম লেখা ইংল্যান্ডের একটি জার্সি তুলে দেন ডেনমার্কের ক্যাপ্টেনের হাতে, যাতে ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের সই রয়েছে।
ম্যাচ শুরু
দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে ইউরো ২০২০-র দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরু।
প্রথম একাদশে রদবদল
ইংল্যান্ড তাদের প্রথম একাদশে একটি রদবদল করে। স্যাঞ্চোর বদলে মাঠে নামছেন সাকা। অপরিবর্তিত দল নিয়ে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে ডেনমার্ক।
সাকার নজির
সবথেকে কম বয়সে ইংল্যান্ডের হয়ে কোনও বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে শুরু থেকেই মাঠে নামছেন সাকা (১৯ বছর ৩০৬ দিন)।
দুর্ভেদ্য ইংল্যান্ড
এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ৫টি ম্যাচে একটিও গোল হজম করেনি ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে পিকফোর্ড দূর্গ রক্ষা করতে পারলে প্রথম দল হিসেবে ইংল্যান্ড ইউরোর একটি আসরে ৬টি ম্যাচে গোল না খাওয়ার রেকর্ড গড়বে।
চমকপ্রদ পরিসংখ্যান
ইউরো ২০২০-র প্রথম দু'টি ম্যাচে ডেনমার্ক প্রতিপক্ষের জালে শট নেয় ৪৩ বার। গোল করে মাত্র একটি। পরের তিনটি ম্যাচে ডেনমার্ক প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেয় আরও ৪৩টি। গোল করে ১০টি।
ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক
ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড ও ডেনমার্ক মোট সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। সাতটি ম্যাচেরই ফল ছিল ১-০। ৫টি ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। ২টি জিতেছে ডেনমার্ক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই মাঠে শেষ দু'টি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছে ডেনমার্ক। কোনও দল ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডকে পরপর তিনটি ম্যাচে হারাতে পারেনি। সেদিক থেকে নজির গড়ার হাতছানি রয়েছে ড্যানিশদের সামনে।
মুখোমুখি সাক্ষৎ
শেষ ৬ বারের মুখোমুখি সাক্ষাতে ইংল্যান্ড একবার মাত্র হারাতে পেরেছে ডেনমার্ককে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ২টি ম্যাচ জিতেছে ডেনমার্ক। ইংল্যান্ড ২০০২ বিশ্বকাপে ৩-০ গোলে জয় তুলে নেয়। বড় টুর্নামেন্টে এই নিয়ে তিনবার একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে দু'দল। ২০০২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড জয় তুলে নেয়। তার আগে ১৯৯২ সালের ইউরোয় গোলশূন্য ড্র হয় ম্যাচ।
ডেনমার্কের পরিবর্ত ফুটবলার
অ্যান্ডারসেন, স্কোভ, অলসেন, জোর্গেনসেন, নরগার্ড, জোনাস, ওয়াস, উইন্ড, পলসেন, কর্নেলিয়াস, ফ্রেডেরিক, জেনসেন।
ইংল্যান্ডের পরিবর্ত ফুটবলার
গ্রেনিশ, হেনডারসন, রাশফোর্ড, ট্রিপিয়ার, ব়্যামসডেল, মিংস, কোয়াডি, স্যাঞ্চো, ফডেন, জনস্টোন, জেমস, বেলিংহ্যাম।
ডেনমার্কের প্রথম একাদশ
ক্যাসপার স্মায়েল, জানিক ভেস্তারগার্ড, সাইমন জায়ের, আন্দ্রেয়াস ক্রিশ্চেনসেন, জোয়াকিম মাহলে, থমাস ডেলানি, পিয়ের-এমিল হজবার্গ, জেনস স্টাইগার, মিকেল ড্যামসগার্ড, মার্টিন ব্রাথওয়েট, ক্যাসপার ডলবার্গ।
ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ
জর্ডন পিকফোর্ড, কাইল ওয়াকার, লিউক শ, ডেকলান রাইস, জন স্টোনস, হ্যারি মাগুইর, হ্যারি কেন, রহিম স্টার্লিং, কেলভিন ফিলিপস, ম্যাসন মাউন্ট, বুকায়ো সাকা।