এদিন মোহনবাগান আক্রমণাত্মক খেলেছে। কারণ পিয়ারলেস রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়েই খেলতে নেমেছিল। যে কারণে বাগানের আরও বেশি গোল করা উচিত ছিল। প্রথমার্ধেই তারা একটি গোল করেছিল। এর বাইরে আর গোলের মুখই খুলতে পারেনি। নিঃসন্দেহে পিয়ারলেসের তিন কাঠির তলায় ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন সঞ্জয়। মোহনবাগান জিতলেও, ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। তবু কোথাও গিয়ে বাগানের মধ্যে সেই মরিয়া ভাবটা উধাও ছিল। শটগুলোতে কোনও জোর ছিল না। ১-০ এগিয়ে যাওয়ার পরে, তাদের খিদেটাও কম মনে হয়েছে। একটু গা-ছাড়া ভাব কিন্তু সবুজ-মেরুনের মধ্যে পুরো দ্বিতীয়ার্ধ জুড়েই ছিল।
খেলা শেষ, জিতল মোহনবাগান
পিয়ারলেসকে মোহনবাগান ১-০ হারাল বটে, তবে তাদের অনেক বেশি ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল। কিন্তু পিয়ারলেসের গোলকিপার সঞ্জয় এদিন দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। এবং তাঁর জন্যই পিয়ারলেস হারলেও, স্কোরলাইন বাড়েনি। এদিনের ম্যাচের নায়কও হয়ে গেলেন পিয়ারলেসের কিপারই।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। এখনও খেলার ফল মোহনবাগানের পক্ষে ১-০। পিয়ারলেসের কিপার সঞ্জয় যদি এদিন না থাকতেন, তবে স্কোরলাইন অন্য রকম হতে পারত। আরও বেশি গোলে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
মাঠে ফের উত্তেজনা
৮৬ মিনিট- পিয়ারলেসের কর্নার থেকে আসা শট জাহিদ ধরে ফেলে। এর পর পিয়ারলেস ফুটবলাররা বাগান কিপারকে ঘিরে ঝামেলা শুরু করেন। পাল্টা ঝামেলা করেন বাগান ফুটবলাররাও। রেফারি ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পিয়ারলেসের অনিশ মজুমদার এবং মোহনবাগানের অমনদীপ হলুদকার্ড দেখেন।
সহজ সুযোগ নষ্ট করল পিয়ারলেস
৮৫ মিনিট- মোহনবাগানেক কিপারের ভুলে গোল খেয়ে যাচ্ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কোনও মতে, আমনদীপ শুয়ে পড়ে বলটি ক্লিয়ার করেন। তবে ফাঁকা গোল পেয়েও পিারলেস যে ভাবে সুযোগ নষ্ট করল, তাতে তাদের হাত কামড়াতে হবে।
সাময়িক উত্তেজনা
৭২ মিনিট- মাঠের মধ্যে সামান্য উত্তেজনা। দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে উত্তাপ দেখা যাচ্ছে। তবে রেফারি পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করে নিয়েছে।
ফের অনবদ্য সেভ পিয়ারলেস কিপারের
৭১ মিনিট- রানার পাস থেকে ফারদিন দুরন্ত শট নিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রাতা হয়ে ডাইভ দিয়ে বল বাঁচান পিয়ারলেসের কিপার সঞ্জয়। একা হাতে পিয়ারলেসকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন সঞ্জয়।
দুরন্ত পিয়ারলেসের কিপার
৬৫ মিনিট- মোহনবাগান আক্রমণে উঠছে। গোলের মুখও খুলছে। টাইসন বাগানের হয়ে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পিয়ারলেসের গোলকিপার সঞ্জয় দুরন্ত ছন্দে বাগানকে প্রতিহত করে রেখেছে। টাইসনের শটটিও তিনি আটকে দিলেন। তিনকাঠির তলায় দাঁড়িয়ে সঞ্জয় এখনও পর্যন্ত গোলের ব্যবধান বাড়তে দেননি।
সুযোগ নষ্ট করলেন কিয়ান
৫৬ মিনিট- কিয়ান নাসিরি পিয়ারলেসের প্লেয়ারকে আউট সাইড ডজ দিয়ে একটি শট নিয়েছিলেন। কিন্তু শটে সে ভাবে জোর ছিল না। পিয়ারলেসের কিপার সঞ্জয় সেই শট সহজেই বাঁচিয়ে দেন।
মোহনবাগানের সুযোগ নষ্ট
৪৮ মিনিট- মোহনাবাগান প্রায় গোল করে ফেলেছিল। কিন্তু অল্পের জন্য সহজ সুযোগ নষ্ট করল তারা। ২-০ এগিয়ে যেতে পারলে বরং নিশ্চিন্ত হতে পারত সবুজ-মেরুন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। পিয়ারলেস প্রথমার্ধে পুরো রক্ষণত্মক খেলেছে। মোহনবাগান আগ্রাসী মেজাজে ছিল। তবে তারা মাত্র একটি গোলই করতে পেরেছে। দেখার, দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ে কিনা!
প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে মোহনবাগান
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। রেহানের একমাত্র গোলে ১-০ এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। যদিও সবুজ-মেরুনই পুরো আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছে। তবে গোলের ব্যবধান তারা বাড়াতে পারেনি।
বুটের জঙ্গলে আটকে যাচ্ছে বাগানের আক্রমণ
৪০ মিনিট- মোহনবাগানই আক্রমণ করে চলেছে। তবে আপাতত ব্যবধান বাড়েনি। মোহনবাগান চাইছে বিরতির আগে ব্যবধান বাড়াতে। কিন্তু পিয়ারলেসের বুটের জঙ্গলে তাদের আক্রমণ প্রতিহত হচ্ছে বারবার।
রোহেন মিস করলেন
২৬ মিনিট- মোহনবাগান সামনে সহজ সুযোগ। তবে রোহেন হেডে বলটি ঠিক মতো কানেক্ট করতে পারেনি! তবে যে ভাবে আক্রমণ শানাচ্ছে মোহনবাগান, তাতে চাপে পিয়ারলেস! আপাতত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ১-০ এগিয়ে।
বড় সুযোগ নষ্ট বাগানের
২৩ মিনিট- মোহনবাগানের আর একটি গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। রানার একটি দুর্দান্ত পাস থেকে কিয়ান শট নিয়েছিল। তবে পিয়ারলেসের গোলরক্ষক বলটি দুরন্ত সেভ করেন! তা না হলে ২-০ এগিয়ে যেতে পারত বাগান।
গোওওওওওওওলললললল…. ১-০ করে ফেলল মোহনবাগান
২২ মিনিট- ম্যাচের ২২ মিনিটে দুরন্ত গোল করে ফেললেন রোহেন। ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত গোল করেছে রোহেন। মোহনবাগান ১-০ এগিয়ে গেল।
গোলের দেখা নেই
১৫ মিনিট- গোলের দেখা নেই আপাতত। পিয়ারলেস খুব কমই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠছে। কিন্তু মোহনবাগান সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না।
আগ্রাসী বাগান
৫ মিনিট- শুরু থেকেই আক্রমণে উঠছে মোহনবাগান। পিয়ারলেস অনেক বেশি রক্ষণাত্মক। আর এতেই কিন্তু সুবিধে পেতে পারবে বাগান। আক্রমণের ঝাঁজ থাকলে গোল আসবেই। মোদ্দা কথা এই ম্যাচ কিন্তু বাগানকে জিততে হবে।
খেলা শুরু
মোহনবাগান-পিয়ারলেস ম্যাচ শুরু। আজ বাগানকে জিততেই হবে। হারলেই কিন্তু সুপার সিক্স থেকে দূরেই সরে থাকবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
দুই দলের একাদশ
মোহনবাগান: জাহিদ, রোহেন, দীপেন্দু, আমন, ব্রিজেশ, শিবজিৎ, অভিষেক, টাইসন, কিয়ান, ফারদিন, রানা। পিয়ারলেস: সঞ্জয়, অনিশ, সৌরভ, বাপি, শুভঙ্কর, অভিজিৎ, বিশাল, অমিত, রোহিত, ইসরাফিল, মোনোতোষ।
বাস্তব উবাচ
কলকাতা লিগে মোহনবাগান কোচের দায়িত্বে থাকা বাস্তব রায় ম্যাচের আগে বলছেন, ‘আমাকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে পরবর্তী পর্বে যেতে হবে। আগামী তিনটে কঠিন ম্যাচ আমার কাছে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের সমান। আমাদের সব ম্যাচ জিততে হবে।’
গ্রুপ-'এ'র হাল
কলকাতা লিগের গ্রুপ-'এ'তে এখন শীর্ষে রয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১১ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট তারা ইতিমধ্যে সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে। একটি ম্যাচ এখনও তাদের বাকি রয়েছে। দুইয়ে থাকা ডায়মন্ডহারবার এফসি-র আবার ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট। তাদেরও একটি ম্যাচ বাকি। তিনে রয়েছে কালীঘাট এমএস। ১২ ম্যাচ খেলে ২৪ পয়েন্ট তাদের। চারে রয়েছে আর্মি রেড। তাদের ১২ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট। পাঁচে থাকা মোহনবাগানের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ২০। আর পিয়ারলেস রয়েছে ছয়ে। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০। কালীঘাট বা আর্মির আর কোনও ম্যাচ বাকি নেই। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পিয়ারলেস জিতলেও কালীঘাটকে টপকাতে পারবে না। তাই তাদের সুপার সিক্সে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কালীঘাটকে টপকানোর বড় সুযোগ রয়েছে মোহনবাগানের সামনে। তাই আজ পিয়ারলেস ম্যাচে জয় দিয়েই সেই লক্ষ্যের দিকে এগোতে মরিয়া বাগান ব্রিগেড।
মোহনবাগানের সামনে মরণ-বাঁচন লড়াই
গ্রুপ-'এ'র এখন পাঁচে রয়েছে মোহনবাগান। মোহনবাগানের আর বাকি তিনটি ম্যাচ। পিয়ারলেস, মহামেডান এবং ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে তাদের। লিগের পরবর্তী পর্বে যেতে হলে বাগানকে তিনটি ম্যাচই ফাইনাল ধরে নিয়ে এগোতে হবে। তা না হলে লিগের সুপার সিক্স পর্বে যাওয়াটা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। আজ রবিবার সেই তিন ম্যাচের প্রথম লড়াইয়ে সবুজ-মেরুনের প্রতিপক্ষ পিয়ারলেস। আর তিনটে ম্যাচ জিতলেই কোনও দ্বিধা না করে মোহনবাগান সুপার সিক্সে হাসতে হাসতে উঠে পড়বে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।