মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট সিনিয়র ফুটবল টিম শনিবার (২২ জুলাই) থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে। আর প্রথম দিন থেকেই রুদ্ধদ্বার অনুশীল চলবে। তবে এই নির্দেশিকা আপাতত ২৪ জুলাই পর্যন্তই জারি করা হয়েছে।
মোহনবাগানের জুনিয়র টিম ইতিমধ্যে কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলতে শুরু করে দিয়েছে। তবে সিনিয়র টিম শনিবার থেকেই প্রাক মরশুমের প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে। তার আগেই বাগানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২২-২৪ জুলাই ফুটবলারদের মেডিক্যাল টেস্ট, জিম এবং ফিটনেস ক্রিয়াকলাপ চলবে। তার জন্য এই তিন দিন অনুশীলনে রুদ্ধদ্বার থাকবে। অর্থাৎ মিডিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এর মাঝেই আবার কলকাতা ফুটবল লিগে মোহনবাগান বনাম কালীঘাট এমএস ম্যাচ পিছিয়ে গেল। ঠিক কী কারণ ম্যাচ পিছিয়েছে, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে শুক্রবার আইএফএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টেকনিক্যাল কারণে মোহনবাগান বনাম কালীঘাট এম ম্যাচ এক দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ২৫ জুলাই ম্যাচটি হওয়ার কথা থাকলেও, সেটি হবে ২৬ জুলাই। দুপুর তিনটে থেকে মোহনবাগান মাঠে।
আরও পড়ুন: কুয়াদ্রাতের পরামর্শে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের ২ মিডফিল্ডারকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল
কলকাতা লিগ কিন্তু জমে উঠেছে। তিন প্রধানের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে তথাকথিত ছোট দলগুলোও। তবে মোহনবাগান কিন্তু কলকাতা লিগে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে। গোলের ফোয়ারা ছোটাচ্ছে। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট সবুজ-মেরুন শিবিরের। তবে বাগান কিন্তু গোল করার পাশাপাশি গোল হজমও করছে। যেটা চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রুপ এ-তে তৃতীয় স্থানে আছে মোহনবাগান। শীর্ষে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার এফসি। ৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে বাগানের চেয়ে গোলপার্থক্যে এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহমেডান।
আরও পড়ুন: ৫ বছর পর FIFA Ranking-এ একশোর মধ্যে প্রবেশ করল ভারত, সুবিধে পাবে WC কোয়ালিফায়ারে
এদিকে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচ ড্র করলেও, পরের দুই ম্যাচে পরপর জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। লাল-হলুদের সমস্যা হব পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাব। গোলের সুযোগ তৈরি করেও, তারা মুখ খুলতে পারছে না। এই রোগটা অবশ্য গত বার আইএসএলেও প্রবল ভাবে দেখা গিয়েছিল। আইএসএল থেকে এবারের কলকাতা লিগ- মঞ্চ বদলালেও রোগ একই রয়ে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের এই মুহূর্তে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট।
কলকাতা লিগে মোহনবাগানের মতোই ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র দলের প্লেয়ারদের নিয়ে লিগের যাত্রা শুরু করেছিল। তবে দলের বেহাল দশা দেখে সিনিয়র দলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের দ্বারস্থ হতে হয় লাল-হলুদকে। তাদের খেলা শেষ ম্যাচে খিদিপুর এফসি-র বিরুদ্ধে শৌভিক চক্রবর্তী, গুরমিত গিল এবং মহম্মদ রাকিপকে খেলাতে বাধ্য হন বিনো জর্জ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।