সোমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর একটি বহুমূল্য গাড়ি। আর এক দিন পরেই বিপদে পড়ল নেইমারের ব্যক্তিগত বিমান। তবে দুটি ঘটনার মধ্যে একটি বিষয়ে পার্থক্য দেখা গিয়েছে। স্পেনের রাস্তায় যখন রোলান্ডোর গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন গাড়ির চালক, তখন গাড়িতে রোনাল্ডো ছিলেন না। সিআরসেভেনের গাড়িটি যখন একটি বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারে, তখন রোনাল্ডো ওই গাড়িতে ছিলেন না। তবে পরের দিনে নেইমারের বিমান যখন বিপদে পড়েছিল তখন বিমানেই ছিলেন ব্রাজিলের ফুটবল তারকা।
বোনের সঙ্গে মায়ামিতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেইমার। গত সপ্তাহেই মায়ামির সমুদ্রসৈকতে বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্ডি এবং বোন রাফায়েলার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাকে। সেখান থেকে ব্রাজিল ফেরার সময়ই মাঝ আকাশেই বিপত্তি হয় নেইমারের। আসলে বার্বাডোজ থেকে বিমান ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয়। পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের একটি ছোট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে নেইমারের বিমান। সেই সময়ে বিমানে যাত্রী ছিলেন নেইমার এবং তার বোন রাফায়েলা।
আরও পড়ুন… রোনাল্ডোর সাড়ে ১৬ কোটির গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে, ঠিক আছেন তো সিআরসেভেন?
নেইমারের ব্যক্তিগত এই বিমানটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৩১ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। এক টানা ২,৯০০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারে। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে বিমান চালানোর ঝুঁকি নেননি পাইলট। বিমান ছাড়ার আগে বোন রাফায়েলাকে পাশে নিয়ে একটি ছবি তোলেন নেইমার। নেটমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন তিনি।
আরও পড়ুন… রোনাল্ডোর সাড়ে ১৬ কোটির গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে, ঠিক আছেন তো সিআরসেভেন?
আকাশে ওড়ার পর বিমানের জানলা থেকে তোলা নিচের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন নেইমার। ছোট বিমান হওয়ায় ঝুঁকি নিতে চাননি পাইলট। শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই অবতরণ করে নেইমারের বিমান। নেইমার এবং তাঁর বোনের কোনও আঘাত লাগেনি। যদিও ব্রাজিলের একটি সূত্রের দাবি, বিমানে ছিলেন না নেইমার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।