নিজেদের প্রথম দু'টি ম্যাচেই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল ডেনমার্কের। তবে ফুটবলদেবতা হয়তো তাঁদের সহায়ই ছিল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রাশিাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের দল। সঙ্গে সঙ্গে শেষ ষোলোয় নিজেদের জায়গাও পাকা করে নেয়।
এর আগে ১৯৮৮ ও ২০০০ সালের ইউরোয় নিজেদের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে ডেনমার্ককে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সেই আশঙ্কা বারংবারং মাথা চাড়া দিচ্ছিল। তবে উদ্বুদ্ধ ড্যানিশ দল শুধু যে ম্যাচ জিতল তাই নয়, জিতল একাধিক নজির গড়ে।
ইউরোর ইতিহাসে প্রথম দলহিসাবে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর নক-আউট পর্বে নিজেদের স্থান পাকা করল ডেনমার্ক। গতবারের টুর্নামেন্টে তিন পয়েন্ট নিয়ে নক-আউটে পৌঁছলেও হার নয়, বরং তিনটি ম্যাচ ড্র করেই শেষ ষোলোয় নিজেদের জায়গা পাকা করেছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল।
এর পাশাপাশি ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের পর প্রথমবার কোন বড় টুর্নামেন্টে চার গোল করল ড্যানিশ দল। ডেনমার্কের হয়ে ম্য়াচের প্রথম গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যক্তিগত নজির সৃষ্টি করেন মিকেল ডামসগার্ড। বড় টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তিনিই ডেনমার্কের হয়ে কনিষ্ঠতম (২০ বছর ৩৫৩ দিন) গোলস্কোরার।
ডেনমার্কের পাশাপাশি, ম্যাচ হারলেও রাশিয়ার হয়ে ব্যক্তিগত নজির গড়েন দলের অধিনায়ক আরটেম ডাইজুবা। জাতীয় দলের সর্বকালে সর্বোচ্চ গোলদাতা (৩০) হওয়ার পাশাপাশি আরও এক নজির গড়লেন ৩২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। সোভিয়েত ইউনয়নের ভাঙনের পর তাঁর থেকে বেশি অন্য কোন রাশিয়ান ফুটবলারের বড় টুর্নামেন্টে গোলে অংশীদারিত্ব (চারটি গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট) নেই। তবে এতসব সত্ত্বেও খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে রাশিয়াকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।