গৌতম গম্ভীর চিরকালই ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত। হালেই তিনি বলছিলেন যে বিরাট কোহলি নয় তিন নম্বরে সূর্যকুমার যাদবকে খেলানো উচিত। কিন্তু আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার পরেই কোহলিকে ফের তিন নম্বরে খেলানোর জন্য সওয়াল করেন গম্ভীর। কিন্তু একই সঙ্গে কোহলিকে খোঁটা দিতেও ভোলেননি গৌতম গম্ভীর। অন্য কোনও প্লেয়ার হলে এতদিন টিকতে পারতেন না বলেও মনে করেন গম্ভীর।
ম্যাচের শেষে গৌতম গম্ভীর বলেন যে সবাইকে বুঝতে হবে যে তিন মাস নয়, তিন বছর ধরে রান পাননি কোহলি। গম্ভীরের মতে তিনি সমালোচনা করতে চান না কিন্তু অতীতে রান করার ফলেই ম্যানেজমেন্টের ব্যাকিং পেয়েছেন কোহলি। এরপর সাফ সাফ ভাবে গম্ভীর বলেন যে কোনও তরুণ ছেলে হলে তো এত দিন টিকতে পারত না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও সেঞ্চুরি না করে। শেষ অবধি একশো হতই বলেন গম্ভীর। তবে এটা ঠিক যে অন্য কেউ হলে এতদিন টিকত না।
তবে বাস্তব হল, কোহলি সেঞ্চুরি না করলেও এই তিন বছরে ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার ছিলেন তিনি। শুধু শেষ ছয় মাসেই কিছুটা ফর্ম খারাপ হয়েছে তাঁর। তা না হলে যেভাবে কোহলি খেলছেন, তাতে তিনি বাদ পড়বেন এটা আদৌ বলা যায় না। সেই ভাবে দেখতে গেলে কেএল রাহুল সহ ভারতের অনেক ক্রিকেটারের ওপরেই প্রশ্ন উঠবে।
অন্যদিকে অন্যরা সবাই কোহলিকে ওপেন করার কথা বললেও সেই প্রস্তাবে রাজি হচ্ছেন না গম্ভীর। তাঁর মতে, রাহুল ও রোহিতই ঠিক আছে। তিন নম্বরে আসুন কোহলি। যদিও এর আগে সূর্যকুমার যাদবকে তিন নম্বরে আসার কথা বলেছিলেন গৌতম গম্ভীর। তবে আপাতত সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন তিনি। অন্যদিকে ভুবনেশ্বর কুমারকে বাদ দিয়ে মহসিন খানকে দলে নিয়ে আসার সওয়াল করেছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মহসিন খান ও কেএল রাহুল দুজনেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্লেয়ার যার সঙ্গে যুক্ত গম্ভীর। সেই বিষয়টি কি তাঁর বিশ্লেষণে প্রভাব ফেলছে, এই নিয়েও অনেক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।