‘সব সময় ধারাবাহিকতাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হয় না। অনেক সময় প্রয়োজন হয় ভাগ্যেরও।’ এমনই মনে করেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। তাঁর মতে ক্রিকেটারদের পক্ষে ভারতীয় দলে টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বোলারদের। একজন ব্যাটার তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শন করে প্রথম একাদশে জায়গা ধরে রাখতে পারে। কিন্তু বোলারদের অবস্থা কী হবে? এই প্রশ্ন তোলেন ভারতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। তিনি মনে করেন জাতীয় দলের শীর্ষ বোলার মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহরা চোট না পেলে অন্য বোলারদের জন্য জায়গা পাওয়া কঠিন হয়।
একটি অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় কার্তিক তুলে ধরেন উমেশ যাদবের কথা। বারবার উমেশকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও বিস্ফোরক উক্তি করেন তিনি। উমেশ যাদব এক কয়লা শ্রমিকের সন্তান হয়ে একজন পুলিশ অফিসার হওয়ার লক্ষ্যে থেকে কিভাবে ভারতীয় দলের বোলার হয়ে উঠলেন, সেই কথা কার্তিক বলেছেন। দীনেশ এও মনে করেন, উমেশকে অন্যান্য বোলারদের থেকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়েছে।
বিশেষ করে ২০১০ সালের দিকে উমেশ যথেষ্ট সাফল্য পান। তারপর থেকে জাতীয় দলে কিছুটা বাত্য হয়ে ওঠেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বুমরাহর পরিবর্তে প্রথমে ইশান্ত শর্মার কথাও ভাবা হয়েছিল বলে জানান ডিকে।
তিনি বলেন, ‘উমেশের সম্পর্কে কথা বলতে গেলে আগে বুঝতে হবে ও কোথা থেকে উঠে এসেছে। একজন কয়লা শ্রমিকের সন্তান হয়ে পুলিশ অফিসার হওয়ার চেষ্টা করে উমেশ। তাতে সফল না হয়ে জোরে বোলার হওয়া। ২০০৮ সালের দিকে বির্দভের হয়ে ঘরোয়া মরশুম খেলা। তারপর ২০১০ সালে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেয় ও। কিন্তু তার কিছু সময় পরে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকতে শুরু করে উমেশ। কেরিয়ারে ভালো পর্যায়ে থাকার সময় দল থেকে বাদ পড়া যেকোনও ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাসে আঘাত করবে। উমেশকেও সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি ডিকে। তিনি আরও বলেছেন, ‘যখন কোন দলের কাছে বুমরাহ এবং শামির মতো আক্রমণাত্মক বোলার থাকে তখন ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের মধ্যে থেকে একজনকে দলে নিতে হয়। অনেক সময় এটা ইশান্ত, উমেশ এবং শামির মধ্যেও হতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় উমেশকে দল থেকে বাদ পড়তে হয়।’
উমেশ যাদবকে একবার আইপিএলে কোনও দলই কেনেনি। শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্স সুযোগ দেয় তাঁকে। সেই বিষয়ে কার্তিক বলেন, ‘উমেশকে বারবার উপেক্ষা করা হতো। আমার মনে হয় ওর জন্য সবথেকে খারাপ সবাই ছিল আইপিএলের নিলামে বিক্রি না হওয়া। ওকে সত্যিই খুব আঘাত দিয়েছে।’ উমেশকে কলকাতা নাইট রাইডার্স সুযোগ দেওয়ার পর ১২ ম্যাচ খেলে ১৬ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।