তৈরি ভারত। বুধবার মরুদেশে অজিদের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জয় দিয়ে তারই হুঙ্কার দিল মেন ইন ব্লুজ। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিযান শুরু করতে প্রস্তুতি বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। ২৪ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বিশ্বকাপে নিজেদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই জয় পয়েছে রবি শাস্ত্রীর ছেলেরা। চলতি বিশ্বকাপে বিরাটদের সাফল্য নিয়ে অনেকেই আশায় রয়ছেন। অনেকেই মনে করেন ১৪ বছর পরে হয়তো আবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেতে পারে টিম ইন্ডিয়া। তবে সবটাই এখন সময় বলবে।
ভনের মতো প্রাক্তনরা অবশ্য বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়াকে ফেবারিট মানতে রাজি নন। তাদের যুক্তি ভারতের থেকেও অন্য দল আরও বেশি শক্তিশালী। ২০১৬ সালেও ফেবারিট ছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু পাঁচ বছর আগে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মহেন্দ্র সিং অ্যান্ড কোম্পানিকে। তবে এবারে ছবিটা পাল্টেছে। অনেকেই মনে করেন এবারে অবশ্য অন্য ছবি দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।
এর কারণ অবশ্য ২০১৬ সাল থেকে ভারতের পারফরমেন্সের দিকে চোখ দিলেই বোঝা যাবে। এইপাঁচ বছরে ভারতের টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্য অন্যদের থেকে অনেকটাই বেশি। ২০১৬ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৭২টি অফিসিয়াল টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। যার মধ্যে মেন ইন ব্লুজ জিতেছে ৪৫টিতে। বিরাট কোহলিরা গত পাঁচ বছরে হেরেছে ২২ টি ম্যাচ। জয়ের হার ৬২.৫।
ঘরের মাঠ ও বাইরের মাঠের বিচারেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভারত। ২০১৬ জুনের পর থেকে শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত মোট ৩২টি হোম টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। যারমধ্যে তারা জিতেছিল ২১টি ম্যাচ। ১০টি ম্যাচ তারা হেরেছে। অন্যদিকে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের হার কিছুটা কম থাকলেও, বাইরের মাটিতে জয়ের সংখ্যা কিছু কম নেই ভারতের। ঘরের বাইরে শেষ পাঁচ বছরে মোট ৪০ টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। এরমধ্যে ২৪টি ম্যাচে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া, হেরেছে মাত্র ১২ ম্যাচ। এই অঙ্ক দেখেই বোঝা যাচ্ছে ২৪ তারিখে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে নিজেদের কতটা শক্তিশালী করে তুলেছে টিম ইন্ডিয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।