দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের ভ্রুকুটি উঁকি মারছিল প্রথম ইনিংসেই। যখনই প্রোটিয়ারা প্রথমে ব্যাট করে ২০৫ রানের বড় ইনিংস খেলে দেয়। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়া করে জেতা সহজ বিষয় ছিল না। জেতেওনি বাংলাদেশ। তবে লজ্জার বিষয় হচ্ছে, ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যেটা রানের হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ২০৫ রানের জবাবে ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার পর অবশ্য বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান, শুধু মাত্র নিজেদের বোলিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সঞ্চালক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের প্রশ্নের উত্তরে শাকিব বলেন, ‘প্রথম ওভারের পর আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। উইকেটটা ভালো ছিল। রিলি রসৌ দারুণ ভাবে মানিয়ে নিয়েছে। কুইন্টনও ভালো খেলেছে। ওদের দু'জনের জুটিটাই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।’
প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু এর পর আর বাংলাদেশের বোলাররা পাত্তা পাননি। দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে রিলি এবং কুইন্টন। আর জুটি ভাঙতে না পারাকেই হারের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন শাকিব।
আরও পড়ুন: সকলে বলেন, ধোনি আসায় ও জায়গা হারায়, আসলে আলাদা কিছুই হওয়ার ছিল- কার্তিকের বাবা
তিনি বলেওছেন, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করিনি। বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে, প্রথম ছয় ওভারে। যেহেতু উইকেট ভালো ছিল, আগের দিন এই মাঠে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যা করেছে, আজ দক্ষিণ আফ্রিকাও তা–ই করল। আমাদের উইকেট নিতে হতো। এখানে উইকেট না নিতে পারলে আমরা সব সময়ে পিছিয়ে থাকব। ওদের হাতে উইকেট ছিল। আর ওরা দু'জন যেভাবে খেলেছে, তাতেই ম্যাচটা হাত থেকে বের হয়ে গিয়েছে।’
এ তো গেল বোলিংয়ের কথা। আজকের ম্যাচের পর বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়েও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। শাকিবও পরে ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা মেনে নিয়েছেন। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে গতি এবং বাউন্সের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। আমাদের বাউন্স আর পেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের শুধু ব্যাটিং করে যেতে হবে।’