টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের হাতে ১০ উইকেটে দুরমুশ হতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। পাকিস্তান ইতিহাস বদলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় দলের সামনেও চ্যালেঞ্জটা অনেকটা একইরকম। বিরাট কোহলিদেরও ১৮ বছরের পুরনো এক ইতিহাসকে বদলাতে হবে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড, দুই দলই পরাজিত হওয়ায় ভারত ও কিউয়িদের মধ্যেকার ম্যাচ সেমিফাইনালে পৌঁছানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ণায়ক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিরাট কোহলির ভারতীয় দলের কাছে কিউয়ি বরাবরই শক্ত গাঁট। সদ্য মাস কয়েক আগে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে তো কেন উইলিয়ামসনরা ভারতকে হারানই, পাশপাশি ২০১৯ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও তাদের বিরুদ্ধে হেরেই ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নও ভঙ্গ হয়। পরিসংখ্যান তুলে দেখতে গেলে জানা যাবে ২০০৩ সালে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন দলকে হারানোর পর আইসিসি ইভেন্টে ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডই একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বকাপজয়ী দলকে হারাতে সমর্থ হয়। এমনকী ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও কিউয়িরা ৪৭ রানে একপেশে ম্যাচ জেতে। তাই লড়াইটা যে বিরাট কোহলিদের ইতিহাসের সঙ্গেও তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। বাবরের পাকিস্তান পেরেছে, ৩১ ডিসেম্বর কোহলিরা পারেন কি না, এবার সেটাই দেখার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।