ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই আঙুলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন রোহিত শর্মা। এনামুলের ক্যাচ ধরার চেষ্টায় তাঁর বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুল কেটে যায়। তিনি তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়েন। চোটের জায়গা স্ক্যান করাতে তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে রোহিত ড্রেসিংরুমে ফেরেন আঙুলে মোটা ব্যান্ডেজ নিয়ে। সারা ইনিংসে তিনি ফিল্ডিং করতে নামেননি। ধাওয়ানের সঙ্গে ব্যাট হাতে ওপেন করতেও নামেননি হিটম্যান। তবে দল যখন বেকায়দায়, সাজঘরে বসে দলের পতন দেখতে রাজি ছিলেন না রোহিত। জাহাজ ডুবছে দেখেও সাহসী কাণ্ডারীর মতোই শেষ পর্যন্ত হাল ধরার চেষ্টা করেন তিনি।
ইনিংসের ৪২.৪ ওভারে শাকিবের বলে শার্দুল ঠাকুর আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন রোহিত। টিম ইন্ডিয়ার স্কোর তখন ৭ উইকেটে ২০৭ রান। অর্থাৎ বাংলাদেশের ২৭১ রান টপকে ম্যাচ জিততে হলে ভারতের তখনও দরকার ছিল ৪৪ বলে ৬৫ রান। হাতে ছিল মাত্র ৩টি উইকেট।
আরও পড়ুন:- IND vs BAN: ট্র্যাজিক হিরো রোহিত, রুদ্ধশ্বাস জয়ে ওয়ান ডে সিরিজ বাংলাদেশের
৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত আপ্রাণ চেষ্টা করেন দলকে জয় এনে দেওয়ার। ৪৬তম ওভারে এবাদতের বলে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন রোহিত শর্মা। ৪৯তম ওভারে মাহমুদুল্লাহকে জোড়া ছক্কা হাঁকান তিনি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান দরকার ছিল টিম ইন্ডিয়ার। মুস্তাফিজুরের শেষ ওভারের প্রথম বলে কোনও রান নেননি রোহিত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পরপর ২টি চার মারেন তিনি। চতুর্থ বলে কোনও রান ওঠেনি।
সুতরাং, শেষ ২ বলে জয়ের জন্য ১২ রান দরকার ছিল টিম ইন্ডিয়ার। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান রোহিত। শেষ বলে ছয় মারলেই ভারত ম্যাচ জিতত। তবে ইয়র্কার ডেলিভারিতে রোহিতকে ছক্কা হাঁকানো থেকে বিরত করেন মুস্তাফিজুর।
বাংলাদেশের ২৭১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৯ উইকেটে ২৬৬ রানে আটকে যায়। ৫ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ হারে ভারত। রোহিত ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ট্র্যাজিক হিরো হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ভারত অধিনায়ককে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।