রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে মহম্মদ সিরাজ পাঁচ উইকেটের তুলে নেয়। আর সিরাজের দাপটেই দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫৫ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। যার ফলে ভারত ১৮৩ রানের লিড পায়। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে ভারত কার্যত ব্যাজবল ক্রিকেট খেলে। যশস্বী জয়সওয়াল এবং রোহিত শর্মা ওপেনিং জুটিতে ৭১ বলে ৯৮ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ করেন।
রোহিত টেস্টে নিজের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেন। রোহিত ১২তম ওভারে ৪৪ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। রোহিত আউট হলে শুভমন নামেন। আর ১৩তম ওভারে ৩০ বলে ৩৮ করে সাজঘরে ফেরেন যশস্বীও। যশস্বী আউট হওয়ার পর সকলকে চমকে দিয়ে বিরাট কোহলির পরিবর্তে চারে নামেন ইশান কিষাণ। অথচ কোহলি প্রথম ইনিংসে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। নিজের ৫০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি ধামাকা করবেন বলে সকলেই আশা করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এমন অদ্ভূত পরিবর্তিত প্ল্যান দেখে সকলে রীতিমতো হতবাক হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ৩ দিন যা খেলেছি, তাতে জিততাম- বৃষ্টিতে ম্যাচ ড্র, হজম করতে পারছেন না স্টোকস
তবে ইশান্ত চারে নেমে ঝড়ের গতিতেই রান তোলেন। তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরিও করেন। এক হাতে ছক্কা মেরে ইশান তাঁর অর্ধশতরান পূরণ করেন। ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেন ইশান। ভারত দুই উইকেটে ১৮১ রান করে দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেয়। ইশানের সঙ্গে ৩৭ বলে ২৯ করে অপরাজিত থাকেন শুভমন গিল।
কিন্তু চারে কেন নামলেন না কোহলি? বৃষ্টি-বিঘ্নিত চতুর্থ দিনের শেষে ইশান এই রহস্য থেকে পর্দা উঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোহলিই তাঁকে চারে ব্যাট করতে এবং তাঁর স্বাভাবিক খেলাটি খেলতে সমর্থন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ফ্ল্য়াট পিচে ৫ উইকেট নেওয়াটা মোটেও সহজ ছিল না- সিরাজ কৃতিত্ব দিলেন সহকারী কোচকে
ইশান বলেন, ‘এটা সত্যিই বিশেষ (হাফ সেঞ্চুরি) ছিল। আমি জানতাম, দল আমার থেকে কী চায়। সবাই আমাকে সমর্থন করেছিল। বিরাট ভাই আমাকে সমর্থন করেছিলেন এবং আমাকে বলেছিলেন, যাও গিয়ে নিজের খেলাটা খেলো। আশা করছি সোমবার আমরা জিতে মাঠ ছাড়ব।’ ইশান যোগ করেছেন, ‘বিরাট ভাই-ই উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, আমাকে নামতে হবে। তখন একজন স্লো লেফট আর্মার বোলিং করছিল। এটা টিমের জন্য একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। মাঝেমাধে দলের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।’
দলের পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে ইশান বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে আমরা বৃষ্টি থামার পরে ১০-১২ ওভার খেলব এবং ৭০-৮০ রান করব। আমরা ৩৭০-৩৮০ লক্ষ্য রাখতে চেয়েছিলাম।’
ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৩৬৫ রানের লক্ষ্য রেখেছে। চতুর্থ দিনের শেষে ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড দুই উইকেটে ৭৬ রান করে ফেলেছে। ২টি উইকেটই রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে আরও ২৮৯ রান করতে হবে। আর ভারতের চাই ৮ উইকেট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।