স্মৃতি মন্ধানা এবং হরমনপ্রীত কাউরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর, ক্লিনিক্যাল বোলিং প্রদর্শন- মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতকে দ্বিতীয় জয় পেতে সাহায্য করেছে। স্মৃতি এবং হরমনপ্রীত তৃতীয় উইকেটে অপরাজিত ১১৫ রান যোগ করে ভারতের পায়ের তলার জমি শক্ত করেছিলেন। তার পর বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে দেন।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২ উইকেটে ১৬৭ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নামলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানই করতে পারে। ৫৬ রানে ম্যাচ জিতে যায় টিম ইন্ডিয়া।
প্রথমে ব্যাট করতে নামলে ভারত শুরুতেই ধাক্কা খায়। ৫২ রানে ২ উইকেট তারা হারিয়ে বসে থাকে। যস্তিকা ভাটিয়া ১৮ করে আউট হয়ে যান। হারলিন দেওয়াল ১২ করে সাজঘরে ফেরেন। তবে সেই চাপ কাটিয়ে ভারতের হাল ধরেন স্মৃতি এবং হরমনপ্রীত। তারা ভারতকে ১৬৭ রানে নিয়ে যান। ৫১ বলে ৭৪ করে অপরাজিত থাকেন স্মৃতি। আর হরমনপ্রীত ৩৫ বলে ৫৬ করে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শনিকা ব্রুস এবং কারিশ্মা রামহারক ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বড় দলের বিরুদ্ধে ভারতের এই বোলিং ধ্যাড়াবে- তীব্র খোঁচা তারকা পাক ক্রিকেটারের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তাড়া করতে নামলে শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের দাপট অব্যাহত ছিল। ২৫ রানে ৩ উইকেট তারা হারিয়ে বসে থাকে। তবে শেমাইন ক্যাম্পবেল ৫৭ বলে ৪৭ রান কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছিল। সেই সঙ্গে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ২৯ বলে অপরাজিত ৩৪ করে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। ক্যাপ্টেন হেইলি ম্যাথিউস এবং শেমাইন ক্যাম্পবেলের ৭১ রানের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের একমাত্র প্রতিরোধ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৪ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১১ রানই করতে পারে।
ভারতের দীপ্তি শর্মা ৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় এবং রাধা যাদব ১টি করে উইকেট নেন। শিখা পান্ডে ২০২১ অক্টোবরের পর তাঁর প্রথম টি-টোয়েন্টি খেললেন। তিনি চার ওভারে ১৮ রান দেন। কোনও উইকেট পাননি। সবচেয়ে বেশি রান দেন দেবীকা বৈদ্য। ২ ওভারে ২৩ রান দেন। কোনও উইকেটও পাননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।