শেষ কবে চেন্নাই সুপার কিংস তিনটি ম্যাচ হেরেছে, তা মনে করতে পারছিলেন না খোদ মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই কার্যত অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী থাকল দুবাই। ২০১৪ সালের আইপিএলের পর আবারও পরপর তিনটি ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হল হলুদ বাহিনীকে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০১৪ সালেও আইপিএলের প্রথম পর্বের আসর বসেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। যদিও ভারতের মাটিতে তিনটি পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল চেন্নাইকে। যা একেবারেই চেন্নাই সুলভ নয়। তবে ২০১৪ সালের চেন্নাইয়ের সঙ্গে এবারের হলুদ বাহিনীর অনেক মিল আছে। বিশেষত এবারের চেন্নাইয়ের খেলায় সেই নাছোড়বান্দা মনোভাবের যেন কোথায় একটা অভাব ফুটে উঠছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে সাত রানের পর সেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ধোনিও।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে আমরা টানা তিনটি ম্যাচে হারলাম। আমাদের ক্যাচ নিতে হবে। নো-বল করতে পারব না। মাঝেমধ্যে আমরা বেশি হালকা ভাবে নিচ্ছিলাম। আমরা দুটি ওভার ভালো করেছিলাম। ডেথে আমরা কিছুটা ভালো বল করতে পারতাম। এই পর্যায়ে আমাদের একটা রেখা টানতে হবে যে এই ক্যাচগুলি ফেলা যায় না। নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
শুক্রবার দু'বার অভিষেক শর্মার ক্যাচ ফস্কান চেন্নাই খেলোয়াড়রা। একবার রবীন্দ্র জাদেজা, অন্যবার শার্দুল ঠাকুর। যিনি আবার ২০ তম ওভারের প্রথম বলেই নো-বল করেছিলেন। সেই বলে আউটও হয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়ম গর্গ। কিন্তু নো-বল হওয়ায় ফিরে আসেন তিনি। শেষপর্যন্ত শেষ ওভারে সাত রান দিলেও শার্দুলের উপর যে খুব একটা খুশি নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ধোনি।
তবে এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন ধোনি। বরং তিনি জানান, সানরাইজার্স ম্যাচে যে ভালো দিকগুলি উঠে এসেছে, সেগুলির উপর ভর করে এগিয়ে যাবে চেন্নাই। একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, ‘আমরা ভালোভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।