দিল্লি ক্যাপিটালসকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতীয় দলেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ব্যাট হাতে কখনও দলকে নিরাশ করেননি। নেতৃত্বের স্কিলও প্রমাণিত। স্বাভাবিকভাবেই আইপিএলের মেগা নিলামে শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে টানাটানি হবে, এটা কার্যত নিশ্চিত ছিল।
বিশেষ করে যে দলগুলির নতুন ক্যাপ্টেনের প্রয়োজন, তারা শ্রেয়সকে দলে নিতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে, এটা কার্যত প্রত্যাশিতই ছিল। বড় দাম পেতে পারেন, তেমন অনুমান করেছিলেন শ্রেয়স নিজেও। তবে অনুমানের জগৎ আর বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। তাই নিলামের সময় যখন তাঁকে নিয়ে টানাটানি চলছিল, সেই সময়টার অনুভূতি কেমন ছিল, অকপটে জানালেন শ্রেয়স নিজেই।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের দলে ঢোকা ও ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হওয়ার পরে শ্রেয়স আইয়ার প্রথমবার ফ্র্যাঞ্চাইজির ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাত্কারে খোলামেলা জানালেন যে, নিলামের সময় তাঁর অবস্থা কেমন ছিল।
আইয়ার বলেন, ‘আমি টিভিতে নিলাম দেখছিলাম। কেকেআর শুরু থেকেই আমার জন্য ঝাঁপায়। আরও কয়েকটা বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিও লড়াইয়ে যোগ দেয় এবং আমার মনে আছে বেশ কিছুক্ষণ টানাটানি চলে। আমরা (জাতীয়) দলের সব সদস্যরা একসঙ্গে বসে টিভিতে নিলাম দেখছিলাম। আমার হৃদপিণ্ড ধুকপুক করছিল এবং আবেগে নিয়ন্ত্রণ রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি রিল্যাক্সড থাকার ভান করছিলাম। তবে ভিতরে ভিতরে একটু নার্ভাস ছিলাম। শেষে কেকেআর আমাকে দলে নেয়। অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল। উজ্জ্বল ঐতিহ্যের কথা ভেবেই কেকেআরের যোগ দিয়ে গর্বিত।’
উল্লেখ্য, শ্রেয়স আইয়ারকে কেকেআর ১২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেগা নিলাম থেকে দলে নেয়। ইশান কিষাণ (১৫ কোটি ২৫ লক্ষ) ও দীপক চাহারের (১৪ কোটি) পরে এবারের আইপিএল নিলামে সব থেকে বেশি দাম ওঠে শ্রেয়সেরই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।