শুভব্রত মুখার্জি: ২০১২ সালের আইপিএল ফাইনালেরই কি পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে ২০২১ সালের ফাইনাল? চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী কলকাতা শিবির। বুধবার রাতের ম্যাচে দিল্লিকে হারায় কলকাতা। তবে সেই ম্যাচে সহজ জয়ের জায়গা থেকে ম্যাচ রীতিমতো 'কঠিন' করে জিততে হয় কেকেআরকে। সৌজন্যে অবশ্যই তাদের মিডল অর্ডারের 'মিনি' ব্যাটিং বিপর্যয়। তবে কেকেআরের চিফ মেন্টর প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার ডেভিড হাসি বিষয়টি নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে কেকেআরের প্রথম একাদশে বিগ হিটিং ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের প্রত্যাবর্তনেরও ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
হাসি জানান, রাসেল তাঁর চোট সারিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার পথে। উল্লেখ্য, বুধবার দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে শুভমন গিল এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার প্রথম উইকেটে ৯৬ রান তোলেন। যেখানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৩৬, সেখানে আশা করা হয়েছিল সহজেই জয় পাবে কেকেআর। তবে ম্যাচে কেকেআরের মিডল অর্ডারের বিপর্যয় ঘটে। সহজে জেতা ম্যাচ একটা সময় এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়ায়, যখন ২ বলে ৬ রান বাকি ছিল। সেখান থেকে ছয় মেরে কেকেআরের জয় নিশ্চিত করেন রাহুল ত্রিপাঠি।
প্রসঙ্গত রাসেলের গ্রেড-২ হ্যামস্ট্রিং চোটের সমস্যা রয়েছে। যদিও তিনি বোলিং শুরু করেছেন। হাসি জানান, ‘দিল্লি ম্যাচের আগে থেকেই রাসেল বল করা শুরু করেছে এবং সেই জন্যেই আমার মনে হয় ফাইনালে ও দলে ফিরতে পারে।’ মিডল অর্ডার ব্যর্থতা নিয়ে তিনি জানান, ‘আমি মোটেও এই মিনি ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে চিন্তিত নই। তার কারণ প্রত্যেকে ক্লাস ব্যাটার। তারা জানে কী ভাবে ফিরে আসতে হয়। এই পিচে ব্যাটিং করাটাও বেশ সমস্যার। এই পিচে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করাটাও সম্ভব ছিল না। তাদের নিজেদের ব্যাটিংকে নিয়ন্ত্রণ করতেই হত। এই উইকেটে ১১-১২০ স্ট্রাইক রেটে খেলাটা আদর্শ। দুবাইতে আমরা পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিয়ে কেউ বলতে পারে না, কী হতে চলেছে। পরবর্তী ম্যাচের জন্য মর্গ্যান, শাকিব, কার্তিকদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা থাকবে। ওরা আইপিএলে এবং দেশের হয়ে অনেক কঠিন ম্যাচ জিতিয়েছে।’