করোনা মহামারির কঠিন সময়ে গতবছর ঘটা করে নিজের জন্মদিন পালন করেননি সচিন তেন্ডুলকর। মায়ের পা ছুঁয়ে দিন শুরু হয়েছিল তাঁর। মায়ের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন গণেশ মূর্তি।
বছর ঘুরলেও করোনা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। বরং তা আরও বেশি করে কাবু করেছে মানুষকে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি তো সবথেকে খারাপ। সচিন নিজেও আক্রান্ত হন করোনা ভাইরাসে। এখনও পুরোপুরি তার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
এমন অবস্থায় শনিবার ৪৯-এ পা দিলেন লিটল মাস্টার। স্বাভাবিকভাবেই দেশবাসীর এমন কষ্টের সময়ে তিনি এবারও জন্মদিনের উত্সব পালন করেননি। বরং জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে একটি মানবিক আবেদন রাখলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য তিনি অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে অনুরোধ করেন যে, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁরা যেন নিজেদের প্লাজমা দান করেন। তিনি নিজেও সময় মতো প্লাজমা দান করবেন বলে জানান তেন্ডুলকর।
সচিন বলেন, ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আপনাদের শুভেচ্ছা বার্তাই আমার দিনটা খুশিতে ভরিয়ে তুলেছে। গতমাসে আমার অত্যন্ত কঠিন সময় কেটেছে। আমি করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হই এবং ২১ দিনের জন্য আইসোলেশনে চলে যাই। আপনাদের শুভকামনা, আমার পরিবার ও বন্ধুদের শুভকামনা এবং সর্বোপরি ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা আমাকে মানসিকভাবে ইতিবাচক রাখতে এবং সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’
পরক্ষণে সচিন আরও বলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ আপনাদের। গত বছর আমি একটি প্লাজনা দান কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলাম। ডাক্তারদের বার্তা ছিল, যদি সঠিক সময়ে প্লাজমা দেওয়া যায়, তবে রোগীরা দ্রুত সেরে উঠবে। ডাক্তাররা যখন অনুমতি দেবেন, আমি নিজেও প্লাজমা দেব। এই নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যাঁরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, নিজেদের ডাক্তারদের পরামর্শ নিন। অনুমতি পাওয়ার পর রক্ত দান করুন। এভাবেই সমস্যা কমানো যাবে। দয়া করে রক্ত দান করে দেশবাসীকে সাহায্য করুন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।