কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত যে জিতে যাবে চেন্নাই সুপার কিংস, সেটা বোধহয় একটা সময়ে নিজেও ভাবতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। টানটান উত্তেজনার ম্যাচ জেতার পর স্বাভাবিক ভাবেই রোমাঞ্চিত মাহি।
রবিবার নাইট বনাম সুপার কিংসের লডা়ইটা পুরো পেন্ডুলামের মতোই দুলে গিয়েছে। কখনও মনে হয়েছে চেন্নাই জিতবে, কখনও আবার ম্যাচে কলকাতার পাল্লা ভারি ছিল। শেষ দু'টি ওভারে চূড়ান্ত নাটক হল। তবে শেষ হাসি হেসেছেন ধোনিই। আসলে মাত্র ৮ বলে ২২ রান করে ম্যাচের রং বদলে দেন রবীন্দ্র জাদেজা।
একটা সময়ে ১২ বলে ২৬ রান দরকার ছিল। আর সেখান থেকেই ম্যাচ ঘুরে যায়। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে প্রসিধ কৃষ্ণ ২২ রান দিয়ে ফেলেন। আর তখনই ম্যাচ হাতের থেকে বের হয়ে যায় নাইটদের। শেষ ওভারে অবশ্য সুনীল নারিন ২ উইকেট নেন। তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান করলেই জিতে যেত চেন্নাই। তবু চেষ্টা চালিয়েছিলেন সুনীল নারিন। শেষ বলে ১ রান বাকি ছিল। এই অবস্থায় ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় সিএসকে।
ম্যাচের পর ধোনি তাই বলেছেন, ‘এটা একটা অসাধারণ জয়। একটা সময় হয়, যখন ভাল খেলেও হেরে যেতে হয়। তবে খুব ভাল না খেলেও ম্যাচ জেতার মজাটা আলাদা। দুই দলই ভাল ক্রিকেট খেলেছে। এবং দর্শকরা এই খেলা উপভোগ করেছে। আমরা এই পিচে ভাল বল করেছি। আমরা ওদেরকে (কেকেআর) শর্ট স্পেল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ১৭০ ঠিকঠাক স্কোর। আমি অন্তত মনে করি।’
প্রথমে ব্যাট করে নাইট রাইডার্স ৬ উইকেটে ১৭১ রান করেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ফ্যাফ ডু'প্লেসি এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড় অসাধারণ শুরু করেছিলেন। প্রথম উইকেটে তারা ৭৪ রান যোগ করেন। ২৮ বলে ৪০ করেন রুতুরাজ এবং ৩০ বলে ৪৩ করেন ফ্যাফ। কিন্তু ওপেনিং জুটি আউট হওয়ার পরেই কলকাতা ধীরে ধীরে ম্য়াচে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। একটা সময়ে ১৭.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান ছিল চেন্নাইয়ের। ১৫ বলে ৩০ রান বাকি ছিল। এই পরিস্থিতিতে পাশা বদলে দেন জাড্ডু।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।