পারফরম্যান্স নয়, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এমনটাই মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তাঁকে তো শুধু অধিনায়কের পদ থেকেই সরানো হয়নি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁকে প্রথম একাদশ থেকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। অথচ প্রথম একাদশে না খেলানোর মতোও এতটা খারাপ পারফরম্যান্স ওয়ার্নারের ছিল না।
প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং ধারাভাষ্যকর সাইমন ডুল মনে করেন, মণিশ পাণ্ডেকে দলে না রাখা প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। কোচ ট্রেভর বেলিস এবং মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণের নাম না করেই তাঁদের এক হাত নিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই সম্ভবত এতটা অসম্মানিত করা হল ওয়ার্নারকে।
সাইমন ডুল বলছিলেন, ‘মণিশ পাণ্ডেকে বাদ দেওয়া নিয়ে পরিষ্কার ভাবে ও বলে দিয়েছিল, এটা ওর সিদ্ধান্ত নয়। আর এটা বলার জন্য ওকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে।’ শুধু সাইমন ডুল একা নন, ডেল স্টেইনও বলেছেন, ‘ডেভিড হয়তো ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, যেটা অনেক সময়ে ম্যানেজমেন্ট পছন্দ করে না। মনে হচ্ছে পর্দার আড়ালে ঝামেলাটা বেশ বড় আকারই ধারণ করেছে, যে বিষয়ে সকলে এখনও অবগত নন। দলের অধিনায়ক বদলানোই যায়, তবে ওয়ার্নারকে সম্পূর্ণ ভাবে দল থেকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্তে আমি বেশ অবাকই হয়েছি।’
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। পরে সুপার ওভারে হেরে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই হারের পর প্রশ্ন ওঠে, দিল্লির বিরুদ্ধে মণিশ পাণ্ডের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল? জবাবে ওয়ার্নার বলেছিলেন, ‘দল নির্বাচনের পুরোটা সিদ্ধান্তই নির্বাচকদের উপর নির্ভর করে। এই সিদ্ধান্তটা খুবই খারাপ ছিল।’ হায়দরাবাদের দল নির্বাচন করে থাকেন কোচ বেলিস এবং ভিভিএল লক্ষ্মণ। এই ঘটনার পরই সম্ভবত দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ওয়ার্নারের বিবাদ শুরু হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।