প্যাট কামিন্স ঝড়ে গতকাল আচমকাই উড়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেই ঝড়ে রেহাই পাননি বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার তথা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ‘বোলিং অধিনায়ক’ জসপ্রীত বুমরাহ। ১৫তম ওভারে বুমরাহকে পরপর দুটি বলে একটি চার ও একটি ছক্কা মারেন প্যাট কামিন্স। যেই বুমরাহকে এখন বিশ্বের তাবড় ব্যাটাররা ‘ভয় পান’, সেই বুমরাহকে কীভাবে নির্ভীক ভাবে খেললেন কামিন্স?
ম্যাচ শেষে কামিন্স বুমরাহর মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন ব্যাট করতে আসি তখন খেলা শেষের দিকে চলে এসেছে। তাই বুমরাহ ডেথ বোলিং করার চেষ্টা করছিল সেই সময়। আমার মাথায় সেই সময় স্পষ্ট ভাবনা ছিল যে আমাকে বাউন্ডারি পার করতে হবে। আমি যখনই বুমরাহর মুখোমুখি হই, তখনই যত জোরে সম্ভব ব্যাট ঘোরানোর চেষ্টা করি। সৌভাগ্যক্রমে কয়েকবার এই ফন্দি কাজে লেগে যায়।’
কামিন্স আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে আমি শট মারব। ভেঙ্কি সেই সময় ক্রিজে ছিল এবং ভালো খেলছিল। তাই আমার মনে হয়েছিল যে আমি যদি দুটো শট বাউন্ডারি পার করতে পারি তাহলে ভেঙ্কটেশের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ছোট বাউন্ডারির দিকে শট মারতে আমি সরে এসেছিলাম। আমি জানতাম তারা অফ স্টাম্পের বাইরে বল করার চেষ্টা করছেন। এই আবহে আমার পরিকল্পনা ছিল নির্দিষ্ট জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে শট মারার চেষ্টা করা। আমি প্রতিটা বলেই চার বা ছক্কা মারার চেষ্টা করছিলাম।’
উল্লেখ্য, গতকাল গতকাল ১৬১ রান তাড়া করতে নেমে ১৩.১ ওভারে ১০১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল কেকেআর-এর। প্যাট যখন ক্রিজে আসেন, তখন দলের ৪১ বলে প্রয়োজন ৬১ রান। সেখান থেকে কামিন্স ঝড় তোলেন। ১৬তম ওভারেই দলকে জয় এনে দেন কামিন্স। মাত্র ১৫ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর গোটা ইনিংসে ছিল ছ’টি ছক্কা এবং ৪টি বাউন্ডারি। ড্যানিয়েল স্যামসকে এক ওভারে ৩৫ রান মারেন। তাছাড়া টাইমাল মিলস, বুমরাহরাও রেহাই পাননি কামিন্সের মার থেকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।