কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২০২৩ আইপিএলে যাত্রা শেষ। শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হেরে এ বারের মতো থেমে গেল নাইটদের লড়াই। তবে গোটা মরশুম জুড়েই কেকেআর প্লে-অফে ওঠার মতো আহামরি কিছু পারফরম্যান্স করেনি। তাদের প্লে-অফে উঠতে না পারার পিছনে রয়েছে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
1/5অধিনায়ক নীতীশ রানার অভিজ্ঞতার অভাব- গোটা মরশুম জুড়ে বারবার নীতীশের ভুল সিদ্ধান্তের স্বীকার হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শনিবারই যেমন লিগের শেষ ম্যাচে টস জিতে নীতীশ বল করার সিদ্ধান্ত নেন। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল তাঁর। ম্যাচে নামার আগেই কলকাতা জানত, তাদের বড় রানে জিততে হবে। আগে ব্যাট করলে বড় রানে জেতার সুযোগ তৈরি করা যেত। কিন্তু সেটা নীতীশ ভাবেনইনি। প্রথমে বল করে অল্প রানে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে আটকে রাখার নীতি নেন নীতীশ। লখনউ তুলল ১৭৬ রান। প্লে-অফে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে যে রান ৭.৫ ওভারে তুলতে হত কেকেআরকে। যা প্রায় অসম্ভব ছিল। ওখানেই কলকাতার হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়। কারণ ব্যাট করতে নামার আগে অত বড় চাপ তারা নিতে পারেনি।
2/5রাসেল, নারিনদের নির্বাচন- আগের মরশুম থেকেই দেখা গিয়েছে সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলরা আগের মতো ম্যাচ উইনারের ভূমিকা নিতে পারছেন না। তাঁদের পারফরম্যান্স একেবারে সাধারণ। এই মরশুমেও তাঁদের পারফরম্যান্স আহামরি ছিল না। দুই প্লেয়ারকে কার্যত বয়ে বেড়িয়েছে কেকেআর। যেখানে বিদেশিরা বাকি দলে বড় পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে, সেখানে রাসেল-নারিনদের গড়পত্তা পারফরম্যান্স কেকেআর-এর জন্য বড় ধাক্কা।
3/5বোলারদের ব্যবহার নিয়ে দোলাচল: ১৪টি ম্যাচ হয়ে গেলেও, কাকে দিয়ে কোন ওভারে বল করানো সঠিক সিদ্ধান্ত, সেটা এখনও বুঝে উঠতেই পারেননি নীতীশ রানা। লখনউ ম্যাচেই যেমন আট জন বোলারকে ব্যবহার করলেন। নিজে এক ওভারে তিন রান দিয়ে আর বোলিংই করলেন না। হর্ষিত ভালো বল করছিলেন। তাঁকে দিয়ে পুরো ওভার করালেন না।
4/5
শ্রেয়স আইয়ারের ছিটকে যাওয়া- চোটের কারণে পুরো আইপিএল থেকে শ্রেয়স আইয়ারের ছিটকে যাওয়াটা বড় ধাক্কা হয়ে যায় নাইটদের জন্য। দলের ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে যায়। পরিবর্তে নীতীশকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ নীতীশ।
5/5বোলার এবং ব্যাটারদের ধারাবাহিকতা অভাব- নাইট বোলার এবং ব্যাটারদের ধারাবাহিকতার অভাব তাদের ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় কারণ। একটা সময় পর্যন্ত নাইট রাইডার্স তাদের ওপেনিং জুটি হাতড়ে বেরিয়েছেন। সফলই হচ্ছিল না কেউ। পরে জেসন রয় এবং গুরবাজ কিছুটা থিতু হয়। কিন্তু তারা সে ভাবে সময় পায়নি। বাকি ব্যাটারদের হাল তথৈবচ। এক ম্যাচে ভালো খেললে, পরের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ে। রিঙ্কু সিং বহু ম্যাচ একা লড়াই করে জিতিয়েছেন। কিন্তু বাকি ব্যাটারদের সাহায্য পাননি। বোলারদেরও বেহাল দশা। তারাও এক ম্যাচে আশার আলো দেখালে, পরের ম্যাচে অন্ধকারে ডুবে যায়।