বাংলা নিউজ > ময়দান > আইপিএল-2023 > করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্লেয়ারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কিং খান, জানালেন বরুণ

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্লেয়ারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কিং খান, জানালেন বরুণ

শাহরুখ নিয়ে আবেগপ্রবণ বরুণ।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লেয়ারদের হাত ধরেই মূলত প্রথম করোনা আতঙ্ক শুরু হয়েছিল আইপিএলে। কেকেআর-এর দুই তরুণ বোলার বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়র করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই রয়্যাল চ্যাসেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছিল।

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দূরে থেকেও, দলের প্রত্যেকের খুব কাছেই ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম কর্ণধার শাহরুখ খান! আতঙ্কে থাকা প্লেয়ারদের মানসিক ভরসা দিয়েছিলেন বলিউডের বাদশাহ।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লেয়ারদের হাত ধরেই মূলত প্রথম করোনা আতঙ্ক শুরু হয়েছিল আইপিএলে। কেকেআর-এর দুই তরুণ বোলার বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়র করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই রয়্যাল চ্যাসেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আইপিএলে প্রথম ম্যাচ বাতিল হয় বরুণদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণেই।

 তার পরে একে একে অন্য দলের ক্রিকেটার, কোচেদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। আইপিএল জুড়ে তখন ভয়াবহ একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে নাইটদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখতে দলের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছিলেন শাহরুখ খান। করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর এমনটাই জানিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। 

পরে করোনার জেরে আইপিএল স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। কিন্তু আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগে যখন, বিভিন্ন দল থেকে যখন একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে শুরু করেছিল, স্বাভাবিক ভাবে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন প্রত্যেকে। বিশেষ করে বরুণ আর সন্দীপের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নাইট রাইডার্সের প্লেয়াররা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। বরুণ বলছিলেন, ‘শাহরুখ খান আমাদের সকলের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছিলেন। আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’ শুধু তাই নয়, বরুণের দাবি, কেকেআর ম্যানেজমেন্ট পুরো আগলে রেখেছিল তাঁদের। ‘কেকেআর ফ্রাঞ্চাইজি খুবই সাহায্য করেছে। এমন কী আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর টিম ম্যানেজমেন্টের একজন আমার সঙ্গে থেকে গিয়েছিল। আমাকে তখনই একা ছাড়া হয়েছিল, যখন আমার দু'টো টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছিল এবং আমি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম,’ বলছিলেন কেকেআর-এর উঠতি তরুণ তারকা বোলার।

করেনার ভয়াবহ সময়ের কথা বলতে গিয়ে বরুণ আরও বলেছেন, ‘১ তারিখ থেকেই আমার একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। আমার খুব ক্লান্ত লাগছিল। কোনও সর্দি-কাশি ছিল না। তবে অল্প অল্প জ্বর ছিল। আমি তাই অনুশীলনেও যাইনি। টিম ম্যানেজমেন্টকে পুরো বিষয়টা জানিয়েছিলাম। ওরা সঙ্গে সঙ্গে আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়েছিল। আমাকে সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের একেবারে অন্য দিকে কেকেআর-এর বাকিদের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে আইসোলেট করে দেওয়া হয়েছিল। আমি পুরো কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছিলাম। তার পর আমি জানতে পারলাম আমার রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে।’

বন্ধ করুন