২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সে বার সেই দলের সদস্য ছিলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শোয়েব আখতার। সেই সময়ে সৌরভের বড় বাজি ছিলেন শোয়েব। পুরনো সেই দিনের কথা মনে করতে গিয়ে রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস রীতিমতো নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন।
স্পোর্টিসকিডার টাইম আউটে শোয়েব ২০০৮ আইপিএলের মজাদার কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে একটি হল সৌরভকে নিয়ে। সেই সময়ে কেকেআর-এর হেড কোচ ছিলেন জন বুকানন। তিনি শোয়েবের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবং শোয়েবকে দলে রাখতে চাননি। তখন শোয়েবের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভই।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কর্তৃক তাঁর উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে কী ভাবে তাঁকে ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করতে হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা করেছেন শোয়েব। যদিও বোর্ড পরে তাঁকে টুর্নামেন্টের ৩৫তম লিগ ম্যাচের আগে খেলার অনুমতি দেয়।
স্পিডস্টার বর্ণনা করেছেন যে জন বুকানন সেই সময়ে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, ফিটনেস সমস্যার কারণে শোয়েব আখতারের প্লেয়িং ইলেভেনে থাকা উচিত বলে মনে করেন না তিনি। তারকা পেসার দাবি করেছেন, সৌরভ কোচকে বুঝিয়ে তাঁর প্রতি সমর্থন আদায় করে নিয়েছিলেন। এবং বলেছিলেন, শোয়েব সব সময়ই আনফিট, তবু ভালো পারফর্ম করে চলেছেন।
শোয়েব আখতার বলেছেন, ‘আমি তখন কেকেআর ক্যাম্পে যোগ দিলেও, তখনও ম্যাচ খেলিনি। কারণ আমি তখন নির্বাসনে ছিলাম। জন বুকানন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, তিনি মনে করেন না আমি যথেষ্ট ফিট। যার উত্তরে সৌরভ বলেছিলেন, আখতার সব সময়ই আনফিট। ওর সম্পর্কে চিন্তা করবেন না। ও অর্ধেক আনফিট হলেও ঠিক খেলে দেবে।’
প্রসঙ্গত, শোয়েব আখতার তাঁর আইপিএল কেরিয়ার দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেছিলেন। দিল্লির বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচেই ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছি রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। এমন কী অভিষেকেই ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।