শেষ ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ভুলেই ম্যাচ হাত থেকে বের হয়ে গিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের। এমনটাই মনে করছেন, ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কর। অশ্বিনের শেষ ওভার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে গাভাস্কর এর ব্য়াখ্যাও দিয়েছেন।
বুধবার টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান করে দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২.২ ওভারে ৯৬ রানে ১ উইকেট থেকে ১৯.৪ ওভারে ১৩০ রানে কলকাতার ৭ উইকেট ফেলে দেয় দিল্লি। তার মধ্যে আবার ১৮-২০ ওভারের মধ্যে পড়ে ৪ উইকেট।
ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল দিল্লির বোলাররা। শেষ ২ বলে ৬ রান করতে হত কলকাতাকে। আগের দু'টি বলে দুই উইকেট হারিয়েছিল নাইটরা। সেখান থেকে চাপের মধ্যেও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ১৯.৫ ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতাকে জিতিয়ে দেন রাহুল ত্রিপাঠি। তিনি হয়ে যান বাজিগর। সেই সঙ্গে আইপিএল থেকে ছিটকে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের শেষে গাভাস্কর বলেন, ‘অশ্বিন অত্যন্ত বিচক্ষণ বোলার। কোন ব্যাটসম্যানকে ঠিক কী বল করতে হবে, কোন জায়গায় বল করতে হবে, সেটা ওর ভাল ভাবেই জানা রয়েছে। ব্যাটসম্যানের মন পড়তে দক্ষ অশ্বিন। আর সেটাই ও করছিলও। অশ্বিন জানত, সুনীল নারিন প্রায় প্রতিটি বল মারার চেষ্টা করবে। সেই কারণে অফ স্টাম্পের একটু বাইরে বল দিয়েছিল। আর সুনীল নারিন লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়।’
এর সঙ্গেই গাভাস্কর যোগ করেছেন, ‘অশ্বিন মনে করেছিল রাহুল ত্রিপাঠি হয়তো উইকেট ছেড়ে এগিয়ে এসে মারতে যাবে। সেই জন্যই একটু ফ্ল্যাট বল করে ফেলেছিল। উল্টোদিকে রাহুলও সম্ভবত অনুমান করেছিল, অশ্বিন ঠিক কেমন বল করতে চলেছে। দুরন্ত একটা শট খেলে দলকে জিতিয়ে দেয় রাহুল ত্রিপাঠি। তবে ম্যাচটা কেকেআর নিজেরাই কঠিন করে ফেলে। অন্তত ১০ বল আগেই ম্যাচটা সহজে জিতে নিতে পারত তারা।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।