২০১৪ সালের আইপিএল-এর ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি সুরেশ রায়না। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের ম্যাচের দৃশ্য আজও চেখের সামনে ভাসে রায়নার। বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ৫৮ বলে ১২২ রানের ইনিংস, ১২টা বাউন্ডারি ও ৮টা ওভার বাউন্ডারি চোখের সামনে দেখেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের এই তারকা ক্রিকেটার। তিনি তখন মনে মনে বলেছিলেন যদি বীরেন্দ্র সেহওয়াগের অর্ধেকটাও পেয়ে যাই তাহলেই ম্যাচ জিতে যাব। কিন্তু সেদিন তা হয়নি। সেদিনের ম্যাচে রায়না ২৫ বলে করেছিলেন ৮৭ রান। পরে জর্জ বেইলি তাঁকে রানআউট করে দেন। যদি সেদিন তিনি রান আউট না হতেন তাহলে সিএসকে-কে জেতাতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেদিন সেটা আর হয়ে ওঠেনি। অবশেষে হারতে হয়েছিল চেন্নাইকে। তবে সেই দিনের ঘটনা আজও মনে রয়েছে রায়নার।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে নানা কথার মধ্যেই সেই দিনের প্রসঙ্গ ওঠে। তারপর আবেগে ভেসে যান রায়না। সেই দিনের ঘটনার কথা তুলে ধরেন। রায়না জানান, ‘আমি যখন ভিরু ভাইকে প্রচুর ছক্কা মারতে দেখলাম, তখন আমি ভেবেছিলাম উইকেটটি ব্যাট করা অবশ্যই খুব ভাল। আমি ভাবছিলাম যে আমরা ১৮০-১৯০ তাড়া করতে পারি। তবে তারা ২২৬ রান করেছিল। আমি যখন ড্রেসিংরুমে ঢুকেছি তখনই আমি নিস্তব্ধতা দেখেছিলাম। প্রত্যেকেই সেই সময ভাবছিল যে আমরা হেরে যাব। তবে আমি তখন অন্য চিন্তা করছিলাম। যেহেতু আমি স্লিপ, গালি ও পয়েন্টে ছিলাম সঙ্গে কভারে , মিড-অফ, মিড-অনেও ফিল্ডিং করেছিলাম, সেহেতু আমি দেখেছি বীরু ভাই কী ভাবে প্রতিটি বল মারছিলেন। সুতরাং, আমি প্রথম ইনিংস থেকে যা শিখেছি তা আমার ব্যাটে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। আমি জানতাম আমায় সমস্ত স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলতে হবে। বিশেষত সমস্ত বোলারকে ব্যাটের ওপারে না নিয়ে স্ট্রেট বাউন্ডারে মারতে হবে।’
অবেশেষে ম্যাচ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল চেন্নাইকে। তবে দারুন একটা লড়াই দেখিয়েছিলেন রায়না। সেই লড়াই আজও আইপিএল-এর ইতিসাহে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।