ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বি-সহ চলতি আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার পর অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে হারতে হয়েছে এটিকে-মোহনবাগানকে। হারতে হলেও দলের খেলায় হতাশ নয় ক্লাব। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সবুজ-মেরুন শিবির সমর্থকদের বুঝিয়ে দেয়, পয়েন্ট খোয়ালেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছেন রয় কৃষ্ণারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে-মোহনবাগান জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে। সেই পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী মোহনবাগান প্রতিপক্ষের তুলনায় গোলে শট নিতে পেরেছে বেশি সংখ্যায়। যদিও জামশেদপুরের ২টি গোলের তুলনায় ১টি গোল কম করে তারা। তা সত্ত্বেও এটা বোঝা যায় যে, এটিকে মোটেও রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেনি। বরং তারা প্রতিপক্ষের তুলনায় আক্রমণ শানিয়েছে বেশি।
গোটা ম্যাচে মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে জামশেদপুর মোট ১১টি শট নিয়েছে। যার মধ্যে ৯টি শট ছিল যথাযথ লক্ষ্যে। অন্যদিকে, মোহনবাগান জামশেদপুরের পোস্টের উদ্দেশ্য মোট ১৩টি শট নিয়েছে। ৬টি শট ছিল টার্গেটে।
বল দখলের লড়াইয়েও গিয়ে ছিল এটিকে-মোহনবাগান। তাদের দখলে ছিল ম্যাচের ৫২ শতাংশ বল। জামশেদপুরের দখলে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ বল।
মোহনবাগান যে অনেক পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলেছে, তা বোঝা যায় ফাউল ও হলুদ কার্ডের সংখ্যার দিকে তাকালে। জামশেদপুর ফাউল করেছে ১৬টি। হলুদ কার্ড দেখেছেন তাদের চার জন ফুটবলার। মোহনবাগান ফাউল করেছে ১৩টি। তাদের কেউ হলুদ কার্ড দেখেননি। দু'দলের কোনও ফুটবলারই অবশ্য লাল কার্ড দেখেননি।
এটিকে-মোহনবাগান বনাম জামশেদপুর এফসি ম্যাচের পরিসংখ্যান:-
গোল: এটিকে মোহনবাগান- ১ (৮০ মিনিটে রয় কৃষ্ণা), জামশেদপুর- ২ (৩০ ও ৬৬ মিনিটে ভাল্সকিস)।
শট: এটিকে মোহনবাগান- ১৩, জামশেদপুর- ১১।
লক্ষ্যে শট: এটিকে মোহনবাগান- ৬, জামশেদপুর- ৯।
বল দখল: এটিকে মোহনবাগান- ৫২%, জামশেদপুর- ৪৮%।
কর্ণার: এটিকে মোহনবাগান- ৬, জামশেদপুর- ৯।
ফাউল: এটিকে মোহনবাগান- ১৩, জামশেদপুর- ১৬।
হলুদ কার্ড: এটিকে মোহনবাগান- ০, জামশেদপুর- ৪।
লাল কার্ড: এটিকে মোহনবাগান- ০, জামশেদপুর- ০।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।