ODI World Cup-এর আগেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, কিউয়িদের আশার আলো দিলেন কেন উইলিয়ামসন

চোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, ক্রিকেট মাঠে দ্রুত ফেরার চেয়ে, তিনি সম্পূর্ণ ভাবে চোট সারানোতেই বেশি জোর দিয়েছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, অক্টোবর এবং নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠা তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেন উইলিয়ামসন।

কেন উইলিয়ামসন ডান হাঁটুর চোটের থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বিশ্বকাপ অভিযানে নিউজিল্যান্ডের হয়ে কি খেলতে পারবেন? এই নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলছে। তার মাঝেই অবশ্য কিউয়িদের জন্য খুশির খবর, কেন উইলিয়ামসন সম্ভবত বিশ্বকাপে খেলতে পারেন।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গুজরাট টাইটান্সের প্রথম ম্যাচেই ফিল্ডিং করার সময়ে কিউয়ি তারকার এনটেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে (ACL) চোট লেগেছিল। সেই চোটের কারণে এপ্রিলের শুরুতে অস্ত্রোপচারও করতে হয়।

চোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, তাঁর প্রাথমিক ফোকাস, হাঁটুর চোট সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠার উপরেই। ক্রিকেট মাঠে দ্রুত ফেরার চেয়ে, সম্পূর্ণ ভাবে চোট সারানোতেই বেশি জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি অনুযায়ী, অক্টোবর এবং নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠা তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি সোমবার বলেছেন, ‘এই মুহুর্তে আমি সপ্তাহ ধরে এগানোর চেষ্টা করছি। আমি এর আগে এত দীর্ঘমেয়াদী চোট পাইনি। তবে অন্যান্য সকলের সঙ্গে কথা বলেছি এটা নিয়ে। এই চোট সারানোর পথটা বেশ দীর্ঘ। তাই আপনি যদি খুব বেশি সামনের দিকে তাকান, তবে বিষয়টি সম্ভবত কিছুটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘যদিও এক সপ্তাহ করে ছোট ছোট লক্ষ্য রাখা যায়, এবং সেই লক্ষ্যে সফল হলে, জয়গুলিও উপভোগ করতে ভালো লাগে। তবে এটাও জানি যে, এই পথ একেবারেই মসৃণ নয়। এবং আপনাকে কিছু বাধা মনের জোর রেখে পার করতে হবে।’

কেন উইলিয়ামসনের ব্যতিক্রমী ব্যাটিং দক্ষতার হাত ধরে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৫ বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ সংস্করণের ফাইনালে পৌঁছেছিল। ২০১৯ সালে চূড়ান্ত নাটকের পর সুপার ওভারে ম্যাচ গড়িয়েছিল। সেখানে টাই হওয়ার পর, বেশি বাউন্ডারি মারার এক অদ্ভূত যুক্তিতে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল ইংল্যান্ডকে।

৩২ বছরের কেন উইলিয়ামসন স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বর্তমান প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা তুলনামূলক ভাবে মৌলিক ছিল। তবুও তিনি নেট অনুশীলনে ফিরতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন। যেখানে তিনি আবার ভালো ভাবে প্রশিক্ষণ শুরু করতে পারেন।

তিনি বলেওছেন, ‘জিমে নিজেকে ফিট করা, ফিজিয়োর বিষয়গুলি মেনে চলছি। এবং রিহ্যাবের যাবতীয় নিয়ম মেনে উন্নতি করতে হলে ভালো লাগছে। তবে অবশ্যই নেটে ফিরতে খুব আগ্রহী হয়ে রয়েছি।’