জাতীয় দলের জার্সিতে খুব বেশি ম্যাচে খেলেননি। আসলে তিনি জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার ঠিক মতো সুযোগই পাননি। তবে নিজের রাজ্য কর্নাটকের হয়ে চুটিয়ে খেলেছেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনেক না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই বৃহস্পতিবার সমস্ত ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অভিমন্যু মিঠুন। টুইটারে একটি পোস্ট করে নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান অভিমন্যু।
তিনি এ বার ইংল্যান্ডে চলে যাবেন। সেখানে ইতিমধ্যে একটি কাউন্টি টিমের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়ে গিয়েছে। এখন তিনি ফ্রি প্লেয়ার হয়ে যাওয়ায়, গোটা বিশ্বে বিভিন্ন লিগে অংশ নিতে চান অভিমন্যু মিঠুন।
কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থাকে লেখা এক চিঠিতে অভিমন্যু মিঠুন লিখেছেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে অবসর নিতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম। আমি এবং আমার পরিবারের জন্য নতুন সুযোগ অপেক্ষা করছে। কর্ণাটকে পর্যাপ্ত ফাস্ট বোলিংয়ের প্রতিভা রয়েছে। আমার কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হলে তাঁরা সুযোগ হারাতে পারে।’
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে খেলেছেন মিঠুন। যে কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে চারটে টেস্ট এবং পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।
২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গল টেস্টে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। প্রথম ইনিংসেই ১০৫ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কর্নাটকের পেসার। জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ বার খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। চেন্নাইয়ে একদিনের ম্যাচে।
১০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অভিমন্যু মিঠুন ৩৩৮টি উইকেট নিয়েছেন। ১২বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে আবার দু'বার ১০টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে ৯৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ এবং ৭৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছেন। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে উইকেট নিয়েছেন মোট ২০৫টি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।