সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে হরভজন সিং, রোহিত শর্মারা আছেন। কিন্তু যুবরাজ সিংয়ের 'বন্ধুত্ব দিবসের' ভিডিয়োয় জায়গা হল না মহেন্দ্র সিং ধোনির। তার ফলে দুই তারকার ব্যক্তিগত রসায়ন নিয়ে আবারও চর্চা শুরু হয়েছে।
'ফ্রেন্ডশিপ ডে' উপলক্ষ্যে রবিবার টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, 'জীবনভরের বন্ধুত্বের জন্য, হ্যাপ ফ্রেন্ডশিপ ডে।' সেই ভিডিয়োয় হরভজন, জাহির, মহম্মদ কাইফ, আশিস নেহরা, সচিন, গৌতম গম্ভীর, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, অনিল কুম্বলে, ভিভিএস লক্ষ্মণ, সৌরভ, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওান, ইরফান পাঠান, রবীন উত্থাপ্পা, ইশান্ত শর্মা, ক্রিস গেইল, অজিত আগরকরের সঙ্গে যুবরাজের একাধিক বন্ধুত্বের মুহূর্তের কোলাজ তুলে ধরা হয়েছে। সঙ্গে বেজেছে ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’ গান। কিন্তু বন্ধুত্ব অটুট রাখার সেই ভিডিয়োয় নেই ধোনির কোনও ছবি। এমনকী ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের যে ছবি রাখা হয়েছে, তাতেও নেই ধোনি।
এমনিতেই ধোনির সঙ্গে যুবরাজের সম্পর্ক নিয়ে বরাবর চর্চা চলেছে। ধোনি কোনওদিন বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও যুবরাজ একাধিক এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা থেকে জল্পনা ছড়িয়েছে ভারতের দুই প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের সম্পর্কে কিছুটা শীতলতা আছে। গত বছর একটি সাক্ষাত্কারে যুবরাজ বলেছিলেন, 'আমি সৌরভের অধীনে খেলেছি। তাঁর প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। তারপর মাহি (ধোনি) দায়িত্ব নিল। সৌরভ এবং মাহির মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। সৌরভের অধীনে আমার বেশি স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। কারণ উনি আমায় অফুরন্ত সমর্থন করেছিলেন। মাহি এবং বিরাটের (কোহলি) থেকে সেরকম সমর্থন পাইনি।' অথচ যুবরাজ এবং ধোনি একসঙ্গে ভারতকে কিছু সেরা মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। সে তা হোক ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুবরাজের ছ'বলে ছক্কা বা ২০১১ সালের বিশ্বকাপের ‘উইনিং শট’। একইসঙ্গে ক্রিজে ছিলেন ধোনি ও যুবি। অবসরের পর অবশ্য নিজের অপর প্রান্তে ধোনিকে রাখলেন না যুবরাজ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।