টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না। এশিয়া কাপেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। তারপরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের তারকা মুশফিকুর রহিম। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-সহ টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুশফিকুর বলেন, ‘দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ারে সবাইকে পাশে পেয়েছি আমি। ভালো এবং খারাপ - দুই সময়েই আপনাদের সমর্থন আমায় প্রেরণা জুগিয়েছে। আজ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমি অবসর নিচ্ছি। তবে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ান ডে’তে খেলা চালিয়ে যাব। আশা করছি, এই দুই ফর্ম্যাটে দেশের জন্য সাফল্য নিয়ে আসতে পারব।' সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-সহ অন্যান্য টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আমি খেলা চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: SL vs BAN: পাত্তা দেননি তাসকিনকে, তাঁর বলই আছড়ে পড়ল শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের হেলমেটে
২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশের হয়ে মোট ১০২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছেন মুশফিকুর। মোট ১,৫০০ রান করেছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২ করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১১৫.০৩। মোট ছ'টি অর্ধশতরান করেছেন। তাঁর সামনে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল। ভারতের বিরুদ্ধে চার মেরে জয়ের উচ্ছ্বাসও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তারপর নায়ক হওয়ার শট মারতে গিয়ে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত সেই ম্যাচে এক রানে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮৩ রান তোলে বাংলাদেশ। যা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। ২২ বলে ৩৯ রান করেন আফিফ হোসেন। নয় বলে ২৪ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২৬ বলে মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ৩৮ রান।
আরও পড়ুন: আলপটকা মন্তব্যর অস্বস্তি এড়াতেই কি ব্যাটারদের দুষছেন বাংলাদেশ দলের ডিরেক্টর খালেদ মেহমুদ
সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট পড়ার পর ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিতে থাকে বাংলাদেশ। একাধিক উইকেটের ধাক্কা সামলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস টানতে থাকেন কুশল মেন্ডিস এবং শানাকা। দু'জনে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু সঠিক সময় মেন্ডিসকে আউট করে ম্যাচে ফেরেন শাকিব আল হাসানরা। তারপরও দাসুনের সৌজন্যে ম্যাচে এগিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষের দিকে শানাকা এবং চামিকা করুণারত্নে আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকে ঝুলে যায়। শেষপর্যন্ত পেসার আসিথা ফার্নান্দোর তিন বলে অপরাজিত ১০ রানের সৌজন্যে ম্যাচে জিতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠে যায় শ্রীলঙ্কা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।