শুরুটা ভালো করেছিলেন। তারপর অলিম্পিক্স রেকর্ড টপকানোর লক্ষ্য নিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত সেই লক্ষ্য পূরণ না হলেও পুরুষ বিভাগে জ্যাভেলিন থ্রো'তে সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। সঙ্গে গড়েছেন ইতিহাস।
টোকিয়োয় ঐতিহাসিক জয়ের পর নীরজ বলেন, ‘যদি আপনি প্রথম থ্রো'তে ভালো করেন, তাহলে অন্য অ্যাথলিটদের উপর চাপ তৈরি হয়। তাতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং অন্যদের উপর তৈরি হয় চাপ।’
(নীরজ চোপড়ার ঐতিহাসিক জয় নিয়ে যাবতীয় খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
শনিবার ফাইনালে দারুণ শুরু করেন নীরজ। টোকিয়োর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম থ্রোয়েই ৮৭ মিটারের গণ্ডি পেরিয়ে যান। ছোড়েন ৮৭.০৫ মিটার। দ্বিতীয় চেষ্টায় আরও এগিয়ে যান। সেইবার নীরজের বর্শা ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। সেটাই শেষপর্যন্ত সোনার পদকের জন্য যথেষ্ট ছিল। পরে সোনার পদক গলায় নিয়ে নীরজ বলেন, ‘দ্বিতীয় থ্রোয়ের পর আমি জানতাম যে প্রথমের থেকে ভালো করেছি। আমি ভাবিনি যে আমি জিতে গিয়েছি। সেটা বিপজ্জনক হতে পারত। কারণ সেটার উপর নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না।’ সঙ্গে নীরজ যোগ করেন, ‘তারপর আমি অলিম্পিক্স রেকর্ডের (৯০.৫৭ মিটার, বেজিং অলিম্পিক্সে হয়েছিল) জন্য ঝাঁপাব ভেবেছিলাম। কিন্তু সেই পরিকল্পনামাফিক হয়নি। পরবর্তী লক্ষ্য ৯০ মিটার।’
সেইসঙ্গে নীরজ বলেন, ‘অবিশ্বাস্য লাগছে। অ্যাথলেটিক্সে এই প্রথম ভারত সোনা জিতল। তাই আমার দারুণ লাগছে। অন্যান্য খেলাধুলোয় এবার (টোকিয়োয়) একটা সোনা এসেছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘দীর্ঘদিন পর এটা অলিম্পিক্সে আমাদের প্রথম (সোনার) পদক। অ্যাথলেটিক্সে প্রথমবার আমরা সোনা জিতেছি। আমি এবং আমার দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যোগ্যতা-অর্জন পর্বে আমি ভালো ছুড়েছিলাম। আমি জানতাম যে ফাইনালে আরও ভালো করতে পারব।’ সঙ্গে বলেন, ‘আমি জানতাম যে এটা সোনা হবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।