যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে যশ ধুলদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড পাকিস্তানের ছোটদের

এসিসি এমার্জিং এশিয়া কাপের ইতিহাসে রানের নিরিখে সব থেকে বড় ব্যবধানে জয়ের নজির গড়ল পাকিস্তান দল। ভেঙে দিল নিজেদের গড়া আগের রেকর্ডকেই। এবার ভারতকে তারা হারাল ১২৮ রানে। ২০১৯ সালে পাকিস্তান দল ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার তারা জিতেছিল ৭৭ রানের ব্যবধানে।

যুব বিশ্বকাপে ভারতকে হারাল পাকিস্তান।

শুভব্রত মুখার্জি: এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল অর্থাৎ এসিসি আয়োজিত ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান দল। সেপ্টেম্বর মাসে সিনিয়র দল ২২ গজে এশিয়া কাপের লড়াইতে নামার আগেই পাকিস্তানের যুব দল হারিয়ে দিল ভারতীয় যুব দলকে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে এদিনের ফাইনালে কিছুটা হলেও একপেশে ভাবে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ভারতকে ১২৮ রানের বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। আর এই বিরাট ব্যবধানে হারিয়েই পাকিস্তান দল এসিসি এমার্জিং এশিয়া কাপের ইতিহাসে গড়ে ফেলেছে নয়া নজির।

এসিসি এমার্জিং এশিয়া কাপের ইতিহাসে রানের নিরিখে সব থেকে বড় ব্যবধানে জয়ের নজির গড়ল পাকিস্তান দল। ভেঙে দিল নিজেদের গড়া আগের রেকর্ডকেই। এদিন ভারতকে তারা হারাল ১২৮ রানে। ২০১৯ সালে পাকিস্তান দল ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার তারা জিতেছিল ৭৭ রানের ব্যবধানে।

এদিন কলম্বোতে ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ৩৫২ রান করে পাকিস্তান। তাদের হয়ে দুরন্ত শতরান করেন তাইয়াব তাহির। মাত্র ৭১ বলে ১০৮ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১২ টি চার এবং চারটি ছয়ে। স্ট্রাইক রেট ১৫২.১১। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন সাইয়াম আয়ুব। করেন ৫১ বলে ৫৯ রান। অপর ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান করেন ৬২ বলে ৬৫ রান। ওমর ইউসুফ করেন ৩৫ বলে ৩৫ রান। জবাবে ৪০ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন অভিষেক শর্মা। অধিনায়ক যশ ধুল করেন ৩৯ রান। এছাড়া ওপেনার সাই সুদর্শন করেছেন ২৯ রান। আর কোনও ভারতীয় ব্যাটার বলার মতন রান পাননি। পাকিস্তানের হয়ে সুফিয়ান মুকিম ৬৬ রান নেন তিন উইকেট।