চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে দ্বিতীয়বার ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে গেলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আগ্রাসী হাফ-সেঞ্চুরি করেন রজত পতিদারও। তার পরেও অবশ্য মধ্যপ্রদেশ ম্যাচ জিততে পারেনি মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে।
পৃথ্বী শ বরাবরের মতো ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শুরুতে। মাত্র ১২টি বল খেলে ৬ বার বলকে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। আগ্রাসী ইনিংস খেলে অবসৃত হন মুম্বই অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করেন যশস্বী জসওয়াল। শেষে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সরফরাজ খান ও আমন হাকিম খান। মুম্বই দলগত ব্যাটিংয়ে ভর করে অনায়াসে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে।
রাজকোটে এলিট-এ গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান তোলে। বেঙ্কটেশ ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। উল্লেখ্য, বেঙ্কটেশ রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩১ বলে ৬২ রান করার পাশাপাশি ৬টি উইকেটও দখল করেন।
রজত পতিদার এই ম্যাচে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া চঞ্চল রাঠোর ১০ ও শুভম শর্মা ১৯ রান করেন। মুম্বইয়ের তুষার দেশপান্ডে ২৬ রানে ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন ধাওয়াল কুলকার্নি ও শিবম দুবে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ১৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৮২ রান সংগ্রহ করে নেয়। ১৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। পৃথ্বী ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ২৯ রান করেন। রাহানে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৩০ রান করেন।
৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন যশস্বী জসওয়াল। সরফরাজ খান ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩০ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ২১ রান করে নট-আউট থাকেন আমন হাকিম। মধ্যপ্রদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট দখল করেন কুমার কার্তিকেয়া ও শুভম শর্মা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।