হল না স্বপ্নপূরণ। যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে মরশুম শুরুর আগে দু'মাস দৌড়েছিলেন বাংলার ক্রিকেটাররা, তা অধরাই থেকে গেল।
অথচ ফাইনালের একটি মুহূর্তও লড়াই ছাড়েননি বাংলার খেলোয়াড়রা। মন্থর-কঠিন পিচে টানা আড়াই দিন ব্যাট করেছিল সৌরাষ্ট্র। তখনই বোঝা গিয়েছিল, রঞ্জি ফাইনাল হতে চলেছে এক ইনিংসের। যে দল প্রথম ইনিংসের লিড পাবে, তাদের হাতেই উঠবে ট্রফি। তাই একটানা মাঠে থাকার ধকল সামলে ব্যাট করাটাই ছিল চ্যালেঞ্জ। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধিমান সাহার। পরে সেই স্বপ্ন দেখানোর ব্যাটনটা হাতে তুলে দেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও অর্ণব নন্দী।
কিন্তু পঞ্চম দিনের সকালে ধস নামে বাংলার। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। তখনই দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত সৌরাষ্ট্রের ৪২৫ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান আগেই থেমে যায় বাংলা। তখনই কার্যত রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল সৌরাষ্ট্র। কারণ এই মন্থর পিসে ধস নামানো চাট্টিখানি বিষয় ছিল না। আর হলও তাই। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরাষ্ট্রের চার উইকেট পড়লেও চা-পান বিরতির আগেই হাত মিলিয়ে নেন দু'দলের অধিনায়করা।
রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্র
দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটে ১০৫ রান তুলল সৌরাষ্ট্র। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাদের লিড দাঁড়াল ১৪৯। দু'দলই হাত মিলিয়ে নেয় তারপর। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ম্যাচ জিতল সৌরাষ্ট্র। চারবার ফাইনাল উঠে এই প্রথম রঞ্জি জয়ের স্বাদ পেলেন চেতেশ্বর পূজারারা।
রঞ্জি কার্যত হাতের মুঠোয় সৌরাষ্ট্রের
রঞ্জি কার্যত হাতের মুঠোয় সৌরাষ্ট্রের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সৌরাষ্ট্রের স্কোর ৩৮-১।
অলআউট বাংলা, কার্যত শেষ রঞ্জি জয়ের আশা
প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে গেল বাংলা। সৌরাষ্ট্রের ৪২৫ রানের জবাবে ৪৪ রানেই আগে থেমে গেল বাংলার ইনিংস। শেষ উইকেট পড়ল ঈশান পোড়েলের। চতুর্থ দিনের শেষে আশা জাগানোর পর এদিন ৭৫ মিনিটেই গুটিয়ে গেল বাংলা। সকালে একমাত্র লড়লেন অর্ণব নন্দী। শেষপর্যন্ত ১২৬ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।