শুভব্রত মুখার্জি: ওভালে ১৯৭১ সালের পরে আবার ২০২১ সালে, অর্থাৎ ঠিক ৫০ বছর পরে আবারও টেস্ট জিততে সমর্থ হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ওভাল টেস্টে জয়ের ফলে চলতি টেস্ট সিরিজে বিরাট বাহিনী আপাতত ২-১ ফলে এগিয়ে রয়েছে। এই সিরিজে কি রুট বাহিনীকে ভারত হারাতে পারবে! নাকি বড় জোড় তারা এই সিরিজ ড্র করে শেষ করবে! ওভাল টেস্ট জয়ে ভারতের অন্যতম নায়ক ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা নিজের ব্যাট দিয়ে দিলেন এর উত্তর।
প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে এগিয়ে রুট বাহিনী। হাতে রয়েছে তখনও তিন দিন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের একটা ছোট ভুল টেস্টে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিত। এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে অত্যন্ত ভাল ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েন রোহিত শর্মা। রুটদের প্রথম ইনিংসের লিড ওপেনিংয়েই তুলে দিয়েছিলেন তারা। পরবর্তীতে চেতেশ্বর পূজারাকে সঙ্গী করে ভারতকে শুধু লিড এনে দিলেন না প্রতিষ্ঠা করলেন এক শক্ত ভিত। তিনি ১২৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পরে পন্ত,শার্দুলরা ভারতকে বিশাল রানের লিড এনে দেন। মূলত রোহিতের শতরানে ভর করেই ওভাল টেস্ট জিততে সক্ষম হলেন বিরাটরা।
ম্যাচ শেষে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার পরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রোহিত জানালেন, ' আমি মাঠে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। তবে শতরানটা অবশ্যই বিশেষ পাওনা। প্রায় ১০০ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আমরা জানতাম ওদেরকে ৩৭০ রানের মতন টার্গেট দেওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ব্যাটিং ইউনিটের দলগত প্রচেষ্টায় আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। তিন অঙ্কের রান করাটা কখনও আমার মাথায় ছিল না। আমরা জানতাম কতটা চাপ ছিল আমাদের ব্যাটিং ইউনিটের উপর। আমরা পরিস্থিতি এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাট করেছি। দলকে ভালো পজিশনে নিতে চেয়েছিলাম। তাতে আমার ৩০,৮০ না ১৫০+ রান করলাম তা বড় ব্যাপার নয়। আমি মিডল অর্ডারে ব্যাট করতাম। তবে আমি ওপেনিংয়ের গুরুত্ব জানতাম। যখন ক্রিজে সেট হয়ে যাই তখন তার থেকে বড় রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পরে আমাদের হাতে ২০-২৫ দিন সময় ছিল। যাকে কাজে লাগাই আমরা। এই সিরিজে সেটাই গেম চেঞ্জার হয়ে গিয়েছে। সিরিজে লিডসে আমাদের ব্যাটিং কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিল। তবে তা হতে পারে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের বিষয়টি প্রতি মূহূর্তে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন আমাদের ফিজিও।'