সিরিজের ব্যর্থ ক্রিকেটারদের জন্য দ্রাবিড়ের বিশেষ বার্তা

সমালোচনার সামনে পড়তে হয়েছে সঞ্জুকে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নীতিশ রানা, দেবদূত পাড্ডিকাল ও রুতুরাজ গোয়কোয়াড়দের নাম।

রাহুল দ্রাবিড় ও সঞ্জু স্যামসন (ছবি:গেটি ইমেজ ও রয়টার্স)

এখনই সঞ্জু স্যামসনদের প্রতি ভরসা হারাতে চাইছেন না ভারতীয় দলের অস্থায়ী কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তিনি ভারতীয় দলের ম্যানেজমেন্টকেও বলেছেন যেন এখনই সঞ্জু স্যামসন বা অন্যান তরুণ ক্রিকেটারদের থেকে বোর্ড ভরসা না হারায়। ওদের আরও সুযোগ দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন দ্রাবিড়। প্রত্যেককেই প্রতিভাবান ক্রিকেটার হিসাবে দেখেছেন দ্রাবিড়। সকলের উপর টিম ম্যানেজমেন্টকে ধৈর্য্য ধরতে বলছেন দ্রাবিড়।   

করোনাকালে বিরাট কোহলিরা ইংল্যান্ড সফরে থাকার কারণেই শ্রীলঙ্কা সফরে একেবারে তরুণদের নিয়ে দল তৈরি করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল দ্রাবিড়ের তরুণ মেন ইন ব্লুজ। বহু ক্রিকেটার যারা কখনও দেশের জার্সি গায়ে তোলেননি তাদের অনেককে নিয়েই দল গঠন করেছিল বোর্ড। ধাওয়ানের নেতৃত্বে সেই দল দ্রাবিড়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম থেকেই সকলকে সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কোচ। এমন অবস্থায় একদিনের সিরিজ জিতলেও, হারতে হয়েছে টি টোয়েন্টি সিরিজ। করোনার কারণে বহু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ছাড়াই শেষ দুই ম্যাচে মাঠে নামতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। 

সেই সময় পরীক্ষার সামনে পড়েছিলেন সঞ্জু স্যামসনরা। শেষ দুই ম্যাচে যেহেতু সূর্যকুমার যাদব, পৃথ্বী শরা প্রথম একাদশে ছিলেন না সেই কারণে ব্যাট হাতে শিখর ধাওয়ান ও সঞ্জু স্যামসনের উপরে বাড়তি দায়িত্বছিল। কিন্তু সেই দায়িত্বপূর্ণ করতে ব্যর্থ হন ভারতের উইকেটরক্ষক। শেষ দুই ইনিংসেই টিম ইন্ডিয়াকে ভরসা দিতে পারেননি তিনি। উইকেটের পিছনেও সফল হতে পারেননি। সিরিজের দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে ৭ সাত রান করলেও শেষ ম্যাচে তিন বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরে যান সঞ্জু। এরপরেই সমালোচনার সামনে পড়তে হয়েছে সঞ্জুকে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নীতিশ রানা, দেবদূত পাড্ডিকাল ও রুতুরাজ গোয়কোয়াড়দের নাম।

তবে দ্রাবিড় মনে করেন এদের আরও সময় দিতে হবে। এখনই এদের উপর থেকে ভরসা হারালে চলবেনা। দ্রাবিড় জানান, ‘এটা সত্যি যে, যদি আপনি সিরিজটির দিকে ফিরে তাকান,  তাহলে আপনি একটু হতাশ হবেন। তবে শুধু সঞ্জু নয়, এই দলের অনেক তরুণই রয়েছেন যারা প্রতিভাবান, এবং তাদের উপর ধৈর্য ধরে রাখাটা আমাদের উচিত।’