The Ashes: দুর্বল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই, অন্য সাফল্যের স্বপ্নে বুঁদ ক্যাপ্টেন কামিন্স

প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই পাঁচ ম্যাচের অ্যাসেজ সিরিজ নিজেদের দখলে করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

মেলবোর্নে সতীর্থ বোল্যান্ড উইকেট নেওয়ায় ক্যাপ্টেন কামিন্সের সেলিব্রেশন। ছবি- আইসিসি।

মেলবোর্নে মাত্র দুই দিন এবং এক সেশনেই ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে অ্যাসেজ নিজেদের দখলেই রাখতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই সিরিজ পকেটে অজিদের। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে খুশি হলেও অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের লক্ষ্য কিন্তু ভিন্ন।

অ্যাসেজের পর মার্চে পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তারপর জুনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ রয়েছে। উপমহাদেশীয় পরিবেশে এই দুই সিরিজ জয় তো বটেই পাশাপাশি একমাত্র আইসিসি ট্রফি যা অস্ট্রেলিয়া এখনও জেতেনি, সেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জয়কেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন কামিন্স। গতবার ওভার রেটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় তাদের ফাইনাল খেলা হয়নি। ২০১৬ সালের শ্রীলঙ্কা সফরে ৩-০ হারতে হয়েছিল তাদের। তাই কামিন্স সেই হিসেব মিটিয়ে দিতেই আগ্রহী।

কামিন্স সাংবাদিকদের জানান, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপ বিরাট বড় একটা ট্রফি এবং দুই বছর পর আমি সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে অবশ্যই খেলতে চাই। আমরা এরপর ভারতীয় উপমহাদেশে দু'টি টেস্ট সিরিজ খেলব, যা সবসময়ই বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ান দল সবসময় ঘরের মাঠে জেতার পাশপাশি বিদেশেও ভাল পারফর্ম করে। আমার মনে হয় আমরা বেশ শক্তিশালী এক দল গড়ার পথে। আমাদের ১৫-২০ জন দারুণ ক্রিকেটাররা রয়েছে যারা বিশ্বের যে কোনো পরিস্থিতিতেই পারফর্ম করতে সক্ষম।’

তবে হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে অ্যাসেজ জয় এবং এমন ভাবে জয়কে স্বপ্নের মতো বলেই আখ্যা দিয়েছেন কামিন্স। তবে এখানেও সেই ঘুরে ফিরে ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথাই শোনা যায়। ‘আমরা যেভাবে খেলেছি, সেটা সত্যি বলতে স্বপ্নের মতো। আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে এবং এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচ আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধুমাত্র ৩-০ সিরিজ জয় নয়, এটা প্রমাণ করে যে পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য আমরা প্রস্তুত।’