গাব্বার ময়দানে প্রথম অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম ইনিংসেই মুখ থুবড়ে পড়ল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার ত্রয়ীর সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করলেন জো রুট, বেন স্টোকসরা। প্রথম দিনে দুই সেশনেই ১৪৭ রানে গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড ইনিংস। নতুন অজি টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের আগ্রাসী অধিনায়কত্বে জোস বাটলার এবং ওলি পোপ ছাড়া কোনো ইংলিশ ব্যাটারই তেমন দাগ কাটতে ব্যর্থ হন।
কথায় আছে মনিং শোজ দ্য ডে। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা এরকমই ছিল। ম্যাচের একেবারে প্রথম বলে মিচেল স্টার্কের লেগ স্টাম্পের বল সম্পূর্ণ মিস করে ররি বার্নস আউট হন। অজি পেস ত্রয়ীর দাপটে মধ্যাহ্নভোজের আগেই ৫৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক রুট ফেরেন শূন্য রানে, প্রত্যাবর্তন ম্যাচে স্টোকসকেও ফিরতে হয় পাঁচ রান করে।
একদিকে ওপেনার হাসিব হামিদ (২৫) কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই তাঁকে সাজঘরে পাঠান কামিন্স। এরপর ব্যাট করতে নামা জোস বাটলার প্রতিআক্রমণের পথ বেছে নেন। ওলি পোপের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৫২ রানের পার্টনারশিপও করেন তিনি। তবে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল বাটলারেরে আগ্রাসী মনোভাব ইংল্যান্ডকে নিরাপদ স্কোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তখনই তাঁকে ৩৯ রানে আউট করেন স্টার্ক।
এরপর গোটাটাই কামিন্স ‘কার্নেজ’। সেট পোপ (৩৫) সমেত ইংল্যান্ডের বাকি চার উইকেটই যায় নতুন অজি অধিনায়কের ঝুলিতে। ক্রিস ওকস (২১) কিছুটা লড়াই চালালেও ১৪৭ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ড ইনিংস। কামিন্স সর্বাধিক পাঁচ উইকেট নেন এবং জোস হ্যাজেলউড ও স্টার্ক দু'টি করে উইকেট নেওয়ার পাশপাশি তরুণ ক্যামরন গ্রিনও নিজের প্রথম টেস্ট উইকেট পান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।