চূড়ান্ত ফ্লপ হলেন ‘স্টার’ রিয়ান পরাগ। তবে সরুপম পুরকায়স্থের অপরাজিত ১১২ রান এবং শিবশংকর রায়ের ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের সুবাদে ‘হেভিওয়েট’ কর্ণাটককে হারিয়ে দিল অসম। তার ফলে পাঁচ ম্যাচে প্রথমবার হারের মুখ দেখল কর্ণাটক।
শনিবার কলকাতায় টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অসম। শুরুটা একেবারে ঢিমেতালে করে কর্ণাটক। রবিকুমার সম্রাট যখন আউট হন, তখন ৯.২ ওভারে কর্ণাটকের স্কোর ছিল এক উইকেটে ৩৪। তারপর রানের গতি কিছুটা বাড়লেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। বিশেষত অর্ধশতরান করলেও ৮৩ বলে মাত্র ৬৪ রান করেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কর্ণাটক অধিনায়ক আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ৯৮ বলে ৯৭ রান যোগ করেন নিকিস জস এবং মণীশ পান্ডে।
আরও পড়ুন: Vijay Hazare Trophy: ৪০ বলে ৭৩ রান KKR তারকা রিঙ্কুর! পরপর ২ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি প্রাক্তন নাইট রাহুলের
শেষের দিকে মনোজ ভাঙ্গেড়ে ১৯ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে চার উইকেটে ২৯৬ রান তোলে কর্ণাটক। ১০৬ বলে ১০০ রান করেন নিকিস জস। ৬৪ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন মণীশ। তবে কর্ণাটক যে ৩০০ রানের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিল, সেটার জন্য অসমের শৃঙ্খলহীন বোলিং দায়ী। অতিরিক্ত ২৫ রান দেন অসমের বোলাররা। তারইমধ্যে মার খান রিয়ান। দু'উইকেট নিলেও ন'ওভারে ৭৬ রান খরচ করেন।
সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি অসমের। প্রথম ১০ ওভারে কর্ণাটক কোনও উইকেট তুলতে না পারলেও রান নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ১০.১ ওভারেই প্রথম উইকেট পায় কর্ণাটক। তারপর দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ বলে ৮২ রান যোগ করেন পুরকায়স্থ এবং রাহুল হাজারিকা। ৫০ রান করে রান-আউট হয়ে যান অসমের ওপেনার। ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে যান পরাগ। কিছুক্ষণ পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন অম্লানজ্যোতি দাস।
তারপর খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন পুরকায়স্থ এবং শিবশংকর। পঞ্চম উইকেটে ৮৯ বলে অপরাজিত ১৩১ রান যোগ করেন তাঁরা। সেই জুটিতে ৪৯ বলে ৬৬ রান করেন শিবশংকর এবং ৪০ বলে ৬১ রান করেন পুরকায়স্থ। যে খেলোয়াড়কে নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী অসমের ক্রিকেট মহল। অনেকের তো আশা, পরাগের পর অসমের নয়া ‘স্টার’ হতে চলেছেন পুরকায়স্থ। অনেকে আবার শিবশংকরকে নিয়েও অত্যন্ত আশাবাদী ক্রিকেট মহল।