শুভব্রত মুখার্জি: দীর্ঘদিন আইপিএল, ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে খেললেও জাতীয় দলে জায়গা পাননি ভারতের বাহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট। ৩০ বছর বয়সী পেসার সামনের আইপিএলের মরশুমের জন্য নিজেকে ইতিমধ্যেই তৈরি করতে পরিশ্রম করতে শুরু করে দিয়েছেন। এমন আবহে জয়দেব জানিয়ে দিলেন তার পক্ষে টেস্ট ম্যাচের বোলিং স্পেল দেখাটা কেন 'কষ্টকর'। কারণ তিনিও সাদা জার্সিতে ভারতের হয়ে এই কাজটাই করতে চেয়েছেন। নিজের জন্য এবং দেশের জন্য তিনি গর্বের মুহূর্ত তৈরি করতে চান। আর সেই সুযোগ না পাওয়াতেই কার্যত আক্ষেপ ঝরে পড়ল তার গলাতে।
২০১৯-২০ মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে অসম্ভব ভাল ফর্মে ছিলেন তিনি। রঞ্জির ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন। ১০ ম্যাচে নিয়েছিলাম ৬৭টি উইকেট। তারপরেও ভারতীয় সিনিয়র দলে জায়গা পাননি তিনি সেই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে তার। সৌরাষ্ট্রের এই পেসার ২০১৮ সালে শেষবার ভারতীয় জার্সিতে খেলেছিলেন। দেশের হয়ে তিনি ১টি টেস্ট, ৭টি ওয়ানডে এবং ১০টি টি-২০ ম্যাচে খেলেছেন এখন পর্যন্ত। সম্প্রতি এক জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন বিষয়ে বলতে গিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি করেছেন উনাদকাট। ফলে সামনে উঠে এসেছে একাধিক অজানা কাহিনি।
সৌরাষ্ট্রের পেসার জয়দেব জানিয়েছেন 'আমার পক্ষে সব থেকে কঠিনতম সময় হল টেস্ট খুব ভাল এবং কঠিনতম পেস বোলিংয়ের স্পেল দেখা। নিউল্যান্ডস টেস্টে আমি জসপ্রীতের স্পেল দেখে একেবারে সিটের গোড়ায় বসেছিলাম বলতে পারেন। প্রথম অ্যাসেজ টেস্টে কামিন্স, হ্যাজেলউড এবং স্টার্কের বোলিং দেখেও এটা আমার মনে হয়েছিল। আমি টিভিতে বোলিং স্পেল দেখতে দেখতেই তা বিশ্লেষণ করা শুরু করি। আমার পাশে আমার স্ত্রী রিনি আমার এইসব কর্মকান্ডের সাক্ষী। আমি সবসময় স্বপ্ন দেখি ২২ গজে ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের এবং দলের জন্য গর্বের মুহূর্ত তৈরি করছি।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।