অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাটে কোটি কোটি নগদ টাকা। সেই টাকা গুনতে আনা হচ্ছে বিশেষ মেশিন। আর সেটাই স্বাভাবিক। হাতে করে তো আর ২০-৩০ কোটি টাকা গোনা সম্ভব নয়!
কিন্তু এই প্রতিবেদনটি সেসব নিয়ে নয়। এখানে একটি ছোট্ট বিষয় নিয়ে জানব আমরা।
টাকা গোনার মেশিন কীভাবে কাজ করে?
ব্যাঙ্কের কাউন্টারে এই মেশিন আমরা সকলেই দেখেছি। গুছিয়ে নোটের বান্ডিল দিতেই তা নিমেষের মধ্যে গুনে দিচ্ছে মেশিন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ইডির দৌলতে ইদানিং টিভিতেও তার দর্শন মিলছে। এই টাকা গোনার মেশিন কীভাবে কাজ করে, তা জানেন?
মেশিন ব্যবহার করার জন্য, নোটের বান্ডিলটি প্রথমে এর একটি বগিতে স্তূপাকার করা হয়। নোটগুলি তারপর যান্ত্রিকভাবে ডিভাইসের মাধ্যমে টেনে আনা হয়। প্রতিবার আলোর রশ্মি বাধাপ্রাপ্ত হলে মেশিনটি গণনা করে নোটগুলি গণনা করে।
খুব সহজ করে বললে,
১. নোটের বান্ডিল একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হয়।
২. তার একপাশ থেকে অপর পাশে একটি আলোর রশ্মি থাকে।
৩. এরপর যান্ত্রিকভাবে দ্রুত নোটগুলি এক দিক থেকে আরেক দিকে আনা হয়।
৪. এটা করার প্রক্রিয়ায় যতবার আলোর রশ্মিটি বাধাপ্রাপ্ত হয়, ঠিক সেই সংখ্যক নোট গণনা করা হয়।
নোট কাউন্টিং মেশিনের নির্ভুলতা, ক্লান্তিহীনতা এবং দ্রুততার জন্য তা এই ধরনের কাজে প্রথম পছন্দ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত, একটি নোট-কাউন্টিং মেশিনে ১,০০০টি নোট গুনতে ১ মিনিট মতো সময় লাগে।
‘আমি একজন বেতনভুক কর্মচারী, মালিক নই’, ইডির কাছে এমনই দাবি করেছেন অর্পিতা। টাকার লাইভ টেলিকাস্ট দেখে অর্পিতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘স্যার, এত টাকা আমার বাড়িতে রাখা হয়েছিল? বিশ্বাস করুন। এত টাকার কথা আমি জানতাম না।’