আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই বাস্তবায়িত হতে পারে উড়ন্ত গাড়ি। এমনই পরিকল্পনা হুন্ডাই এবং জেনারেল মোটর্সের(Hyundai & General Motors)। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস আনার বিষয়ে আশাবাদী হুন্ডাই। অন্যদিকে জেনারেল মোটর্সের মতে, এখনও এয়ার ট্যাক্সি আনতে ৯ বছর লাগবে তাদের।
'উড়ন্ত যান লঞ্চের কাজের বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে হুন্ডাই,' এমনটাই জানিয়েছেন হুন্ডাইয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার, হোসে মুনোজ।কিন্তু উড়ন্ত গাড়ির জন্য এই পৃথিবী তৈরী তো? সম্প্রতি এক চ্যাট শো-এ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ককে। তিনি জানান, একটি বিমান ওড়ার ক্ষেত্রেই কত নিয়মনীতি মানতে হয়। তাছাড়া আকাশপথে সাধারণ মানুষ গাড়িতে যাতায়াত শুরু করলে সেটা ভীষণই ঝুঁকিপূর্ণ। তার চেয়ে মাটির তলায় স্তরে স্তরে সুড়ঙ্গ নিয়েই আমাদের বেশি ভাবা প্রয়োজন।
যদিও হুন্ডাইয়ের সিওও-এর মতে, বিশ্বজুড়ে উড়ন্ত গাড়ির একটা বিশাল সম্ভাব্য বাজার রয়েছে। এই প্রযুক্তির উন্নয়নে তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী, জানান তিনি।তবে, পেট্রোলচালিত নয়। ব্যাটারিতে চার্জড এয়ার ট্যাক্সি তৈরির বিষয়ে কাজ চালাচ্ছে হুন্ডাই। তাতে ৫-৬ জন করে যাত্রী বহন করা যাবে। শহরের যানজটের সমস্যার সমাধানের ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।
নাসার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার জাইওয়োন শিনকে ইতিমধ্যেই 'আরবান এয়ার মোবিলিটি ডিভিশনে' নিযুক্ত করেছে হুন্ডাই। নতুন প্রযুক্তিতে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সংস্থা। অন্যদিকে জেনারেল মোটর্স সম্প্রতি একটি উড়ন্ত ক্যাডিল্যাকের আর্টিস্ট গ্রাফিক্স প্রকাশ করে। জেনারেল মোটর্সের এই উড়ন্ত ক্যাডিল্যাক, পরিকল্পনামাফিক ৫৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে উড়তে সক্ষম হবে।
তবে কল্পনা, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে অনেকটাই দেরি আছে। এমনটাই জানালেন জেনারেল মোটর্সের গ্লোবাল ইনোভেশান টিমের ভাইস প্রেসিডেন্ট পামেলা ফ্লেচার। তিনি জানান, এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ক্ষেত্র। আইন-বিধি নিয়ে অনেক কাজ বাকি। সেই সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যাপার তো রয়েইছে।